দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশের জনগণ হবে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন। ডিজিটাল ডিভাইসে শিক্ষা নিয়ে তারা প্রত্যেকে প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও সকল সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক সরঞ্জামে সাজাতে চাই। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। জাতিসংঘে আমাদের নৌবাহিনী অনেক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আমরা এ জন্য দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নৌবাহিনীর হাতে দিয়েছি।

সম্ভাবনার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আজ এক সোনালি সম্ভাবনার মহাসড়কে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের যুগ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এ স্মার্ট বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ; ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে অনেক উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে যেগুলোর অনেক দায়িত্ব নৌবাহিনীর। এই এলাকায় দুটি শিপইয়ার্ডসহ অনেক স্থাপনা গড়ে উঠছে যার দায়িত্বে রয়েছে নৌবাহিনী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনী এখন নির্মাতা বাহিনীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর মিডশিপম্যান ২০২২/এ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ডিইও) ২০২২/বি ব্যাচের শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব বলেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, কক্সবাজারের পেকুয়ায় স্থায়ী সাবমেরিন ঘাঁটি নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এটি শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে। এখান থেকে আমাদের সমুদ্র এলাকা ও নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন ইকোনোমিক জোনের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শের-ই-বাংলা ঘাঁটির নির্মাণ কার্যক্রমও অনেক দূর এগিয়েছে।