দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আফগানিস্তানের নারীদের উচ্চশিক্ষা অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয় পড়া বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান সরকার। এ নিয়ে ইতোমধ্যে বিক্ষোভে নেমেছেন আফগান নারীরা। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে তালেবান সরকার। 

 

তালেবান সরকারের এমন উদ্যোগে সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন জানিয়েছেন, 'নারী শিক্ষা বন্ধ করার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে তালেবান সরকারকে। নারীদের ওপর এমন নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে সারাবিশ্ব থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। আফগান নারীদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা ভালো থাকতে পারবে না।'

ওয়াশিংটনে বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন ব্লিনকেন। তিনি আরও বলেন, 'আফগান নারীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তালেবান সরকার। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে অন্ধকারে রেখে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়নও করতে পারবে না।'

প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার দেশটির সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান। মাত্র তিন মাস আগে আফগানিস্তানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়, হাজার হাজার তরুণী ও নারী তাতে অংশ নেন। তবে মেয়েরা কোন কোন বিষয় পড়তে পারবে, তার ওপর বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছিল তালেবান কর্তৃপক্ষ। বলে দেওয়া হয়েছিল— ভেটেরিনারি, প্রকৌশল, অর্থনীতি এবং কৃষি শিক্ষা মেয়েদের জন্য নয়। আর সাংবাদিকতায় মেয়েরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ।

গত বছর তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফেরার পর তাদের কট্টর ইসলামিক নিয়মগুলোও ফিরতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্লাসরুমে ছাত্রীদের বসার জায়গা ছাত্রদের থেকে আলাদা করার জন্য পর্দার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আসা-যাওয়ার গেটও আলাদা করে দেওয়া হয়। সেই সময় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল— কেবল নারী শিক্ষক বা বৃদ্ধ পুরুষরা শ্রেণিকক্ষে মেয়েদের পড়াতে পারবেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে সে সুযোগও বন্ধ হয়ে গেল।