দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েন্ডি শেরম্যান।

 

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেন, বৃহস্পতিবার ফোনালাপে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদার করা এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন শারম্যান ও শাহরিয়ার।

এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পারস্পরিক অগ্রাধিকারের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এ ছাড়া কূটনৈতিক সম্পর্কে ১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী পারস্পরিক অঙ্গীকারের বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে আবারও নিশ্চিত করেছেন শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূতরা সবসময়ের মতো পর্যাপ্ত নিরাপত্তা পেতে থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রদূতদের প্রকাশ্যে বিবৃতি দেওয়ার আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বুঝতে হবে।

সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের বিক্ষোভের মুখোমুখি হওয়ার পরে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে ১৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সংগঠন মায়ার ডাকের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওইদিন মায়ের কান্না নামে আরেকটি সংগঠন হাসকে একটি স্মারকলিপি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। সামরিক শাসক জিয়ার শাসনামলে ক্যাঙ্গারু আদালতের রায়ে প্রিয়জনদের নিখোঁজ হওয়া এবং তাদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে তদন্তে ওয়াশিংটনের সমর্থন চান তারা।

মায়ার কান্নার স্মারকলিপি না নেওয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সমালোচনা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং আরও কয়েকটি সংগঠন। তারা রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনেন।