দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন শৃঙ্খলা নিরাপত্তা বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সম্মেলন এলাকা ও আশপাশে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা বিভাগসহ নিরাপত্তা বাহিনীর সবগুলো ইউনিট দায়িত্ব পালন করছে। সব গেটে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে ও সিসিটিভি ক্যামেরা। 

 

এবারের জাতীয় সম্মেলনে সারা দেশ থেকে প্রায় ৭ হাজার কাউন্সিলর এবং ১ লাখের বেশি নেতাকর্মী অংশ নিচ্ছেন। শনিবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সোহরাওয়ার্দী মাঠে জড়ো হতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে মঞ্চে উঠেন শেখ হাসিনা।
এর আগে শুক্রবার ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সারাদেশ থেকে লাখোধিক নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বাড়ানোসহ সব খুঁটিনাটি বিষয় মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে চারদিকে সুইপিং, ম্যানুয়াল সুইপিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। একই সঙ্গে সাদা পোশাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এক কথায় আমরা নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। যাতে আওয়ামী লীগ উৎসবমুখর পরিবেশে কাউন্সিল সম্পন্ন করতে পারে।
আর র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, সম্মেলন উপলক্ষে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে র‌্যাব। বিভিন্ন পয়েন্টে স্টাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি পেট্রোল টিম ও ডগ স্কোয়াড থাকবে। এছাড়া বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট এবং সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন। বিশেষ প্রয়োজনে কমান্ডো টিম প্রস্তুত থাকবে। আমরা আশঙ্কার কথা বলছি না। র‌্যাব জাতীয় যেকোনো অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। এখানে যারা আসবেন তারা যেন নিরাপত্তার মধ্যে থাকেন, বাইরের কোনো অপশক্তি এখানে ঝামেলা না করতে পারে সেই জন্য আমাদের নিরাপত্তা প্রস্তুতি।