৪ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ ভারতের
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কম পুঁজির খেলা। ভারতের দুর্ধর্ষ ব্যাটিং লাইনআপের কাছে ১৪৫ রানের টার্গেট কোনো ব্যাপারই না। হাতে আছে আরও দুইদিন। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের ভরসা মিরপুরের উইকেট আর দলের স্পিন আক্রমণ। অধিনায়ক সাকিব ঠিক এই কাজটাই করলেন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণে সাফল্য পায় বাংলাদেশ। দিন শেষে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ৪৫ রান। জয়ের জন্য বাকি দুই দিনে তাদের আরও ১০০ রান প্রয়োজন।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত শুরুতেই উইকেট হারায়। দলীয় ৩ রানে সাকিব আল হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল (১)। স্কোরবোর্ডে আর ৯ রান যোগ হতেই মেহেদি মিরাজের ঘূর্ণি সামলাতে না পেরে স্টাম্পড হন চেতেশ্বর পুজারা (৬)। মিরাজের দ্বিতীয় শিকার শুভমান গিল। ৭ রান করা ভারতীয় ওপেনারকেও স্টাম্পড করেন নুরুল। তাইজুলের বলে বিরাট কোহলিকে লেগ বিফোর ঘোষণা করেছিলেন আম্পায়ার।
ওই মুহূর্তে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান কোহলি। বল তার প্যাডে লাগার আগে ব্যাট ছুঁয়েছিল। কিন্তু এই আনন্দ স্থায়ী হয়নি। এক ওভার পরেই মিরাজের বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ২২ বলে ১ রান করা কোহলি। মাঠ ছাড়ার সময় আম্পায়ারের সঙ্গে তাকে বাদানুবাদ করতেও দেখা যায়। ৪ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে ভারত। ৮ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। সাকিব নিয়েছেন ১টি। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অল-আউট হয়েছিল। জবাবে ভারতের প্রথম ইনিংস থামে ৩১৪ রানে। ৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নামে বাংলাদেশ। আজ শনিবার তৃতীয় দিনের শুরুতেই নাজমুল হোসেন শান্তকে (৫) দিয়ে শুরু। এরপর টপাটপ উইকেট পড়তে থাকে। মুমিনুল হক (৫), মুশফিকুর রহিম (৯), সাকিব (১৩), মিরাজ (০) সবাই ব্যর্থ।
ওপেনার জাকির হাসান ৫১ রান করে আউট হন। এরপর মিডল অর্ডারে মাথা তুলে দাঁড়ান লিটন দাস। ৭৪ বলে ক্যারিয়ারের ১৫তম ফিফটি তুলে নেন। পেসার তাসকিনের সঙ্গে ৮ম উইকেটে তার জুটিতে আসে ৬০ রান। যা ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। শেষ পর্যন্ত ৯৮ বলে ৭৩ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে বোল্ড হন লিটন। নুরুল হাসান সোহান ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৯ বলে ৩১ রান করেন। শেষদিকে ঝড় তোলা তাসকিন ৪৬ বরে ৩১* রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশ অল-আউট হয় ২৩১ রানে। ৩ উইকেট নিয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। ২টি করে নিয়েছেন অশ্বিন আর সিরাজ।