দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ভারতের দলীয় ৭৪ রানে ৭ উইকেট তুলে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে শ্রেয়াস আইয়ার ও রবীচন্দ্রন অশ্বিনের ১০৫ বলে ৭১ রানের অপরাজিত ইনিংস ৩ উইকেটে হারিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। এই টেস্ট হেরে দুই ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

 

রোববার শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চতুর্থ দিন সকালেই ভারতের ৩টি উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। জয়দেব উনাদকাটকে ব্যক্তিগত ১৩ রানে এলবি করেন সাকিব আল হাসান। এরপর পর পর দুই ওভারে ভয়ঙ্কর ঋশভ পন্থ (৯) ও অক্ষর প্যাটেলকে (৩৪) বিদায় করে টেস্টে নমব বারের মতো পাঁচ উইকেট তুলে নেন।
তবে এরপর অষ্টম উইকেটে আইয়ার ও অশ্বিন হতাশ করেন বাংলাদেশকে। দুজনেই অপরাজিত থেকে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। আইয়ার ৪৬ বলে ৪টি চারে ২৯ রান করেন। আর অশ্বিন ৬২ বলে ৪টি ও একটি ছক্কায় ৪২ রান করেন।
মিরাজ ১৯ ওভারে ৬৩ ৫টি উইকেট নেন। সাকিব দখল করেন ২টি।
অথচ আগের দিনই সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, ব্যাটিং স্তম্ভ চেতেশ্বর পূজারা আর বিরাট কোহলি। ৩৭ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় ভারত। ৪ উইকেটে ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে ভারত। জিততে হলে আরও ১০০ রান দরকার ছিল তাদের।
রান তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে সাকিব টার্নে পরাস্ত করেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুলকে (২)। ব্যাটে ছোঁয়া লেগে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের গ্লাভসে।

এরপর আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তার ঘূর্ণি ডেলিভারি কিছুটা সামনে এসে ডিফেন্ড করতে চেয়েছিলেন চেতেশ্বর পূজারা। বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন সোহান। ৬ রানে থামেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ।
প্রায় একইরকমভাবে মিরাজের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়েছেন শুভমান গিল (৭)। এবারও স্টাম্প ভেঙেছেন সোহান। বিরাট কোহলি ছিলেন সবচেয়ে বড় বাধা। শেষ বিকেলে তার উইকেটটিও তুলে নিয়েছেন মিরাজ। কোহলি ডিফেন্ড করেছিলেন, ক্যাচ চলে যায় শর্ট লেগে মুমিনুলের কাছে। দারুণ এক ক্যাচে কোহলির (১) বিদায়ঘণ্টা বাজান মুমিনুল।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২২৭ রান। জবাবে ৩১৪ রানে অলআউট হয় ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৩১ করলে ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৪৫ রানের।