দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকাবাসীর স্বপ্নের মেট্রোরেলের চাকা ঘুরতে যাচ্ছে। প্রথমদিকে ১০টি ট্রেন দিয়ে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হচ্ছে মেট্রোরেল। উদ্বোধনের পর দুই ধরনের টিকিট কেটে মেট্রোরেলে চলাচল করা যাবে।

 

প্রথমত, সিঙ্গেল জার্নির টিকিট স্টেশনের কাউন্টার বা টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে কেনা যাবে। এটি প্রতিবার যাত্রার আগে কিনতে হবে এবং যাত্রা শেষে স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিতে হবে। তা না হলে দরজা খুলবে না, যাত্রীও স্টেশন থেকে বের হতে পারবেন না।

দ্বিতীয়ত, এমআরটি পাস বা পারমানেন্ট জার্নির টিকিট। যা স্টেশনের কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে। এটি রিচার্জ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিসের মাধ্যমেও রিচার্জ করা যাবে। এ ধরনের টিকিট স্টেশনে জমা দিতে হবে না যাত্রীদের।

এই দুই ধরনের টিকিটই পাওয়া যাবে মেট্রোরেলের সব স্টেশনে। টিকিট কাউন্টারের কর্মী এবং টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকে টিকিট কেনা যাবে।

মেশিন থেকে টিকিট কাটার ক্ষেত্রে প্রথমে মনিটরে বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষা অপশন বেছে নিতে হবে যাত্রীদের। এরপর টিকিটের ধরন অর্থাৎ সিঙ্গেল নাকি পারমানেন্ট জার্নির জন্য, সেই অপশন নির্বাচন করতে হবে।

তারপর যাত্রীদের কোন স্টেশনে কত ভাড়া, সেই তালিকা দেওয়া হবে। এ তালিকা থেকে নিজ নিজ গন্তব্যের স্টেশন নির্ধারণ করতে পারবেন। এরপর জাত্রীর কয়টি টিকিট লাগবে, তা জানতে চাওয়া হবে। এক ব্যক্তি সিঙ্গেল জার্নির ক্ষেত্রে একসঙ্গে পাঁচটির বেশি টিকিট পাবেন না। সবশেষ ধাপে যাত্রীকে ওকে বাটন নির্বাচন করে টাকা পরিশোধ করতে হবে। মেশিন টাকা দিলেই টিকিট বের হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১ হাজার টাকা দেওয়া যাবে। এ ছাড়া দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল এক্সিবিশন ইনফরমেশন সেন্টার (এমইআইসি) থেকে মেট্রোরেলের বিষয়ে জনসাধারণকে তথ্য দেওয়া হবে।

এদিকে সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে শুধু উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল করবে।

তিনি বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে সময় চাওয়া হয়েছে। তিনি সময় দিলেই তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বর্তমানে মেট্রোরেলের বহরে ১২টি ট্রেন রয়েছে। এরমধ্যে শুরুতে ১০টি ট্রেন চলাচল করবে। বাকি দুটি স্ট্যান্ডবাই থাকবে। পথে কোনো সমস্যা হলে ট্রেন দুটি ব্যবহার করা হবে।

প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে কমলাপুর অংশ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চালু হবে। তখন ২৪টি ট্রেন চলবে।