দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীতে বাণিজ্যিকভাবে মেট্রোরেল চালুর দ্বিতীয় দিনেও শীতকে উপেক্ষা করে কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর থেকে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে। তবে তাদের মধ্যে বেশির ভাগের প্রয়োজনের চেয়ে শখ পূরণই উদ্দেশ্য। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে উত্তরা ও আগারগাঁও উভয় মেট্রো স্টেশনেই এ চিত্র দেখা গেছে।

 

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকায় গণমিছিল কর্মসূচি থেকে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, ২৪ ডিসেম্বর ১০ দফা দাবিতে বিএনপি রাজধানী ও রংপুর ছাড়া সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে। ঢাকায় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন থাকায় এবং রংপুরে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য এই দুই জায়গায় শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) গণমিছিল করতে যাচ্ছে দলটি।

বিএনপির পূর্বঘোষিত গণমিছিল রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তা পর্যন্ত যাবে। শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় এ কর্মসূচি শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিভাগীয় গণমিছিলের প্রধান সমন্বয়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, আমাদের গণমিছিল শান্তিপূর্ণ হবে। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় গিয়ে আবার নয়াপল্টনে ফিরে আসবে।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, গণমিছিল করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) আমাদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে, বিকেল ৩টায় রাজধানীতে নিজেদের প্রধান কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এ ছাড়া একই সময়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি থেকে গণমিছিল শুরু করবে ১২ দলীয় জোট।

অন্যদিকে, একই দিন বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু করবে ১১ দলীয় জোট।

এদিকে, গণমিছিল ঘিরে রাজধানীতে সতর্ক পাহারায় থাকছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সভা-সমাবেশ করবেন তারা।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কর্মসূচি হলে জনগণ ভয়ে থাকে। তাই ৩০ ডিসেম্বরের কর্মসূচিতে বিএনপি যাতে কোনো অঘটন ঘটাতে না পারে সেজন্য ঢাকা শহরে আওয়ামী লীগ সতর্কতামূলক অবস্থানে থাকবে।

এ দিন বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, যুবলীগ যতদিন মাঠে আছে ততদিন এ দেশের জনগণের জানমালের ওপর কেউ হাত দিতে পারবে না। যারা হাত দেবেন তাদের হাত ভেঙে দেওয়া হবে।

এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে ১০ দফা ঘোষণা করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন