নগরীতে পেশাজীবিদের মিছিল,সরকারের পদত্যাগ দাবি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ব্যর্থ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ- বিএসপিপি গতকাল শুক্রবার নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে র্যালিটি বিএনপি আয়োজিত গণমিছিলে গিয়ে সম্পৃক্ত হয়।
এসময় বিএসপিপির আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন,সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী, এডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ডা. এম এ কুদ্দুস, এডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এডভোকেট ফজলুর রহমান, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড.মোর্শেদ হাসান খান, প্রফেসর ড. শামসুল আলম সেলিম, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, প্রফেসর নুরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম,প্রফেসর ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু,কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, প্রফেসর ইঞ্জিয়ার আলমগীর হাসিন আহমেদ, ডা রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. সরকার মাহবব আহমেদ শামীম,শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, কৃষিবিদ নুরুন্নবী শ্যামল, কৃষিবিদ ড. শফিকুল ইসলাম শফিক, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, শাহজান সাজু, দিদারুল আলম,এস এম রিয়েল রোমান, ইঞ্জিনিয়ার এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ,ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, বিপ্লব উজ জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
মিছিলপূর্ব সমাবেশে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহবায়ক প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, এসরকারের আমলে পেশাজীবিরা সবচেয়ে বেশি নিগৃহীত। ভিন্নমতের হাজার হাজার পেশাজীবীকে চাকরিচ্যূত করা হয়েছে। বহু পেশাজীবিকে গুম ও খুন করে হয়েছে।মামলা দিয়ে পেশাজীবিদের ঘর ছাড়া, বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। তাই আজ ক্ষতিগ্রস্ত ও বিক্ষুব্ধ পেশাজীবিদে ঢ্ল নেমেছে বিএনপির গণমিছিলে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত পেশাজীবিরা ইস্পাত-দৃঢ় ঐক্য নিয়ে রাজপথে থাকবে।
ডাক্তার জাহিদ বলেন, এই নিশি রাতের সরকার ক্ষমতায় গিয়ে জনগণের সকল অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। বাংলাদেশের মানবাধিকার নিশ্চিত, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ের দাবিতে জনগণ আজ বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। পেশাজীবিদেরও জনতার কাতারে গিয়ে শামিল হয়েছে। পেশাজীবি জনতা ঐক্য গড়ে তুলে এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় দিতে হবে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, দেশে চরম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে। মানুষের জান মাল ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নেই। দেশ মনুষ্য বসবাসে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। একদিকে মানুষ না খেয়ে মরছে অন্য দিকে সরকারের লোকেরা দুর্নীতি ও লুটের টাকা দিয়ে বিদেশে সেকেন্ড হোম কিনছে। এমনি পরিস্থিতিতে দেয়ালে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে। এখন আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিপন্ন। গণতন্ত্র নেই। বাক স্বাধীনতা নেই। মিডিয়ার স্বাধীনতা নেই। ন্যায় বিচার নেই। আদালত চলছে সরকারের ইশারায়। প্রতি পদে পদে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগ দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করে দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। আসলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই এটা করে। এটা তাদের গুণ। তারা ভয় দেখিয়ে শাসন করে। তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে আমাদের গণমিছিল সফল করতে হবে। মামলা-হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। পেশাজীবীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন বেগবান করতে হবে। অতীতেও পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এখন শুধু তারেক রহমান বা বিএনপির অস্তিত্বের প্রশ্ন নয়, আজকে গোটা জাতির জন্য অস্তিত্বের লড়াই। যদি গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ফিরে পেতে চাই, তাহলে যেকোনো এফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করতে হবে।আওয়ামী লীগ সরকার গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার হরণ, গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। ফ্যাসিস্টদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা মানাই না। তাদের হাতে দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ নয়।