দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সঙ্গে বিতর্ক জড়িয়ে থাকে সবসময়। প্রতিবারই ঘটে নতুন ঘটনা।

দিন দিন কমছে জৌলুশ। এবারও সেভাবে আনা যায়নি বিদেশি ক্রিকেটারদের। এখনও অবধি অনেক কিছুই বেশ অগোছালো।  

 

শুধু কি তাই, এবারের বিপিএলেও নেই ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস। এ নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে বেশ। জাতীয় দলের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছেন, তিনি দায়িত্ব নিলে খুব বেশি দিন লাগবে না সবকিছু ঠিক করতে।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) গালফ অয়েল বাংলাদেশ লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। এ দিন বেলা ১১টায় তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে এসে সিইওর দায়িত্ব নেন। তবে একদিনের জন্য এই দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। সেখানেই বিপিএল নিয়ে কথা বলেছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার।

সাকিব বলেন, ‘‘আমাকে যদি (বিপিএলের) প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব দেয়া হয়, বেশিদিন লাগবে না। আমার ধারণা এক থেকে দুই মাস লাগবে সর্বোচ্চ; সবকিছু ঠিক করতে। দুই মাসও লাগার কথা না, দুই মাস অনেক দূরের কথা বলছি। ‘নায়ক’ সিনেমা দেখেছেন না? একদিনেও অনেক কিছু করা সম্ভব। যে করতে পারে সে সব করতে পারে। ’’

‘এই পুরো সবকিছু বাদ দিয়ে আবার ড্রাফট হবে, অকশন হবে, ফ্রি টাইমে বিপিএল হবে, সব আধুনিক টেকনোলজি থাকবে। ব্রডকাস্ট ভালো থাকবে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভেন্যু থাকবে। ’

বিপিএল নিয়ে বিসিবি সবসময়ই স্পন্সরের সংকটের কথা বলে। সাকিব অবশ্য বিশ্বাস করেন না টাকার অভাব। তিনি বলছেন, বাংলাদেশে ক্রিকেটের বাজার বেশ বড়; বিসিবি কর্তাদের স্বদিচ্ছার অভাবকেও দায়ী করেছেন সাকিব।

তিনি বলেন, ‘পারিনি নাকি চাইনি জানি না- বলাটা কষ্টকর (বড় করতে)। চাইলে না পারার কোনো কারণ আমি দেখি না। আমার মনে হয় আমরা সৎ মনে কখনও চাইনি কিছু করতে এখন পর্যন্ত। বাজেট নেই, কারণ আমরা বাজেট তৈরি করতে পারিনি। যদি তৈরি করতে পারতাম, মান অর্জন করতে পারতাম- অবশ্যই এই বাজেটটা অনেক বড় হওয়ার কথা ছিল। ’

‘গ্রামের এমন কোনো প্রত্যস্ত অঞ্চল দেখবেন না যেখানে ক্রিকেট খেলা হচ্ছে না। এমন তো না যে এটার জনপ্রিয়তা নেই। ১৬-২০ কোটি মানুষের একটা দেশে এতো পছন্দের একটা খেলা এটার বাজারটা থাকবে না; এটা খুবই দুঃখজনক। মানে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। ’

স্পন্সর সংকট নিয়ে সাকিব বলেন, ‘আমার ধারণা এটা মার্কেটিংয়ের জায়গা থেকে বড় একটি ব্যর্থতা। যে কারণে আমরা সেই রকম একটা বাজার তৈরি করতে পারিনি। (ডিআরএস নেই) বাজে সঙ্কট সম্ভবত। স্বদিচ্ছা থাকলে কোনো কিছু থেমে থাকার কারণ দেখি না। আমি তো কোনো কারণই দেখি না ডিআরএস না থাকার, তিন মাস আগে ড্রাফট বা অকশন না হওয়ার এবং দলগুলো এক মাস আগে ঠিক হবে না। ’

‘খেলোয়াড়রা এভেইলেবল থাকবে। এখন এক প্লেয়ার একদিন আসবে, দুইদিন পর চলে যাবে। কে কখন আসবে কখন যাবে কেউ জানে না। ড্রেস পায়নি প্লেয়াররা। আমি আপনাদের নিউজেই দেখেছি। একটা যা-তা অবস্থা। এর থেকে আমাদের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) আরও ভালোভাবে হয়। কারণ তারা আগে থেকেই টিমটা গোছাতে পারে। আরও আগে থেকে জানে যে টিমটা কি হচ্ছে এবং তারা সেভাবে প্রস্তুতি নিতে পারে। ’

আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। এর আগে সাকিবের এমন বিস্ফোরক সব মন্তব্য বেশ সাড়া ফেলেছে। অনেকে বলছেন, বিসিবি'র ব্যর্থতা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন সাকিব।