দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আগামী দিনে সীমান্ত হত্যা কমে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, কিছু জায়গায় সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

 

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ-ভারত অনন্য বন্ধুত্বে হাসিনা-মোদির আমল : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত হত্যা আমাদের জন্য বিব্রতকর। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কটাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে না পারার একটি কারণ হলো এই সীমান্ত হত্যা। ভারতের সঙ্গে বৈঠক করলে দেখা যায় সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে তাদের সদিচ্ছার কোনো কমতি নেই। কিন্তু অপারেশন লেভেলে কেন ঘটনাগুলো ঘটছে, তা আরও খতিয়ে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আশা করব, সীমান্ত হত্যা সামনের দিনে কমে আসবে। আমরা খেয়াল করেছি, গত তিন বছরে ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার কোনো কোনো জায়গায় মৃত্যু শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। একটিও সীমান্ত হত্যা হয়নি। তবে লালমনিরহাট সীমান্ত নিয়ে সরকারের উদ্বেগ রয়েছে। সেখানে আমরা একটু ব্যত্যয় দেখছি।

মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, গত সপ্তাহে তিন বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত সরকারকে জানিয়েছি। আমরা ভারতকে বলেছি, আমাদের দুই পক্ষের যে চুক্তি আছে বা আমাদের প্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ককে সীমান্ত হত্যা ব্যত্যয় করে। বিষয়টি নিয়ে আমরা সবসময় সোচ্চার থাকব।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ভারতের কাছে উপস্থাপনে আওয়ামী লীগ সরকার কখনও পিছ পা হয় না।

সূর্যবার্তার উপদেষ্টা পরিচালক অধ্যাপক ওমর সেলিম শেরের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন দিল্লির বেনেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অয়নজিৎ সেন, দক্ষিণ এশিয়া মৌলবাদ বিরোধী ফোরামের সভাপতি বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, দৈনিক সমকালের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মঞ্জু, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, বাসসের প্রধান বার্তা সম্পাদক সমীর কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।