দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীতে কনকনে শীত পড়ছে। কুয়াশার পাশাপাশি ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে তুলেছে। ফলে সর্বসাধারণের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে রাজধানীর খেটে খাওয়া মানুষ।

আজ শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা অঞ্চলের তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি থেকে ২০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকতে পারে।

আবহাওয়া অফিস বলছে, দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) থেকে ঢাকায় শীতের তীব্রতা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। একইসঙ্গে দেশের অন্যান্য জেলাগুলোতেও তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা কাটছে না। ঢাকায় ২ দিনে তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস না কমে যদি ১০ দিনে কমতো তাহলে শীতে এত বেশি কষ্টদায়ক হতো না। আশা করা যায়, শনিবার থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করবে।

এছাড়া পাঁচ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়ার পূর্বাভাস। তাছাড়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা দেশের আবহাওয়ায় সামান্য পরিবর্তন আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেন, ‘জানুয়ারি মাস, শীতেরেই সিজন। শীত থাকাটা আসলে স্বাভাবিক। তবে কয়েকদিন ধরে শীতটা অনেক বেশি, কারণ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্যটা কমে গেছে। ঢাকার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশেপাশেই থাকছে, এখনও ১০ ডিগ্রির নিচে নামেনি। এজন্য শৈত্যপ্রবাহ বলছি না আমরা। তবে কনকনে শীতের অবস্থা আরও দুতিন দিন থাকতে পারে।’