দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অবশেষে গত কয়েক দিনের ক্রেতা শূন্যতার খরা কাটল বাণিজ্য মেলায়। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলায় ক্রেতা ও দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। স্টলগুলোতে বিক্রিও অনেক বেড়েছে।

শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরের পর থেকে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের জেলার লোকজন মেলায় আসতে শুরু করেন। সন্ধ্যা নাগাদ জনসমুদ্রে রূপ নেয় বাণিজ্য মেলার স্থল। পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় টিকিট কাউন্টার থেকে শুরু করে প্রবেশ মুখ ও উন্মুক্ত স্থানসহ সব স্টলগুলোতে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। গত ১ জানুয়ারি মেলা শুরু হলেও এতদিন ক্রেতা শূন্যতায় কাটছিল ব্যবসায়ীদের দিন। তবে ছুটির দিনে দর্শনার্থী ও বিক্রি বাড়ায় খুশি বিক্রয় কর্মীরা।

মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, গ্রোসারিশপ ও ক্রোকারিজ পণ্যের স্টলে ভিড় বেশি। ছুটির দিনে অনেকেই পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন। কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গেও এসেছেন। তারা মেলায় বিভিন্ন স্টলে স্টলে ঘুরে ও মেলা প্রাঙ্গণে ছবি তুলে সময় কাটাচ্ছেন।

ওয়াটার পিউরিফায়ার টরেভিনোর বিক্রয় কর্মী জেনি করিম বলেন, প্রচণ্ড শীতের কারণে মেলায় ক্রেতা কম ছিল। তবে আজ ছুটির দিন হওয়ায় দর্শনার্থী বেশি। আমাদের স্টলেই আজ কয়েক হাজার মানুষ এসেছে। আজকে ক্রেতাদের বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি।

শুধু বাণিজ্য মেলাতেই লোকে লোকারণ্য, তা নয়। এদিন দুপুরে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাণিজ্য মেলাগামী বিআরটিসি বাসেও ছিল উপচেপড়া ভিড়। একটা বাস আসতে না আসতেই যাত্রীতে ভরে যাচ্ছিল। বাস কাউন্টারে টিকিটের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ সারি ছিল চোখে পড়ার মতো।

এর আগে, গত ১ জানুয়ারি ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। মেলায় বড়দের জন্য প্রবেশ মূল্য ৪০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।