এবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুপারিশ, আজ শুনানি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিদ্যুতের দাম গ্রাহক পর্যায়ে ১৪ থেকে ১৬ শতাংশ বাড়ানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গঠিত কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি। কমিশনের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা সময়ের আলোকে সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তারা জানান, রোববার (আজ) এ বিষয়ে গণশুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানিতে কমিটির প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। পরে সবকিছু মূল্যায়ন করে ২ মাসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম নিয়ে আদেশ ঘোষণা করবে কমিশন।
এর আগে ডিসেম্বরে পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৯২ শতাংশ বেড়েছিল। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়ানোর আবেদন করে ছয়টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি। সংস্থাগুলো আবেদনে বলেছে, ২০২০ সালের পর খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়নি, এরমধ্যে বিভিন্ন খাতে খরচ বেড়েছে। এখন পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণে তাদের ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। তাই পাইকারির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তা পর্যায়ে দাম বাড়াতে হবে। দাম বাড়ানোর প্রভাব নিয়ে তারা বলেছে, গ্রাহক ব্যবহারে সাশ্রয়ী হলে তাদের মাসের খরচ বাড়বে না। তাছাড়া ধনী গ্রাহকরাও বাড়তি বিল এড়াতে সাশ্রয়ী হবেন বলে তাদের ধারণা।
তবে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। মূল্যস্ফীতির প্রভাবে মানুষ কষ্টে আছে। এই অবস্থায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে নিত্যপণ্যের দাম আরও বেড়ে যাবে। সবমিলে দাম বাড়ানোর বিকল্প ভাবা উচিত।
কমিশন সদস্য (বিদ্যুৎ) বজলুর রহমান গতকালবলেছেন, বর্তমান কমিশনের মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হবে। তাই শুনানির পর বেশি সময় নেওয়া হবে না। এ মাসের মধ্যেই বিদ্যুতের দাম নিয়ে আদেশ ঘোষণা করা হবে।