রিজার্ভ এখন ৩২ বিলিয়নের ঘরে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দিন দিনে কমছে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ। বর্তমানে যা ৩২ বিলিয়নের ঘরে অবস্থান করছে। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার আকুর নভেম্বর-ডিসেম্বর মেয়াদের ১১২ কোটি (১.১২ বিলিয়ন) ডলার পরিশোধ করার পর রোববার রিজার্ভ ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
দুইমাস পরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) আমদানি বিল পরিশোধ করে বাংলাদেশ। অথচ গত বুধবার অর্থাৎ বিল পরিশোধের আগের দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ আকুর সদস্য। যদিও অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কা কিছুদিন আগে আকুর থেকে বেরিয়ে এসেছে।
এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পরপর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়। সে হিসেবে বাংলাদেশের রিজার্ভ দিয়ে আরও পাঁচমাস আমদানি বিল মেটানো সম্ভব।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, বিদায়ী ২০২২ সালে রিজার্ভ থেকে মোট ১২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে। এর বিপরীতে বাজার থেকে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। এতে অভ্যন্তরীণ তারল্যের ওপর চাপ বেড়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন কারণে এমনিতেই সঞ্চয় প্রবণতা কমছে।
অন্যদিকে বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাংকিংখাতের জালিয়াতির তথ্য সামনে আসায় কিছু ব্যাংকে নগদ টাকার সংকট তৈরি হয়েছে। টাকার সংকট মেটাতে আমানতের সুদহার বাড়াচ্ছে কোনো কোনো ব্যাংক। যদিও ঋণের সুদে ৯ শতাংশের সীমা রয়েছে।
২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। অন্যদিকে রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ২০১৭ সালের ২২ জুন। এরপর থেকে করোনার প্রভাব শুরুর আগ পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ থেকে ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘরে ওঠানামার মধ্যে ছিল।
করোনার প্রভাব শুরুর পর বিশ্ববাজারে সুদহার অনেক কমে আসে। তখন বিশ্বের অনেক দেশ বিদেশি ঋণ কমালেও বাংলাদেশে বেড়ে যায়। বিশ্ববাজারে দর বৃদ্ধির পাশাপাশি আগের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে।