দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার সময় এসেছে। একটি দেশের সত্যিকারের পরিচয় হলো সে দেশের শিক্ষা ও সংস্কৃতি। দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না।

 

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। আবদুল মঈন খান বলেন, সত্যিকারের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ইতিহাস থেকে আমাদের কোমলমতি শিশুদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কাজ চালানো হচ্ছে। আমাদের উচিত এখন জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। সে জন্য আমাদের কাজ করতে হবে। কারণ একটি দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না। সে দেশে শিশুদের সুশিক্ষা ও মুক্তচিন্তা করার সুযোগ করে দিতে হবে।

তিনি বলেন, একটি দেশের পরিচয় শুধু উন্নয়ন দিয়ে হয় না। অথবা উন্নয়নের নামে দুর্নীতি দিয়েও নয়। বাংলাদেশে একটি শিশু যখন স্কুল-কলেজে যাবে, তখন তাকে মুক্তচিন্তা করার সুযোগ দিতে হবে। তার সামনে সব তথ্য তুলে ধরতে হবে। ফলে সে যখন বড় হবে, তখন নিজেই বুঝতে পারবে কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক। আমরা কেন এখন থেকে তাকে বলে দিচ্ছি যে সে কী করবে? সরকার এখন একটা ছোট শিশুর মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে দেওয়ার কাজ করছে।

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সরকার দেশ শাসন না করে বসে বসে ইতিহাস লেখে। কিন্তু সেটা সত্যিকারের ইতিহাস নয়, কাল্পনিক। আজকের যে পাঠ্যবইয়ের সমস্যা, এটি পাঠ্যবইয়ের সমস্যা নয়। পাঠ্যবইয়ের প্রথম পৃষ্ঠায় যে ছবি রয়েছে, সেটি বাংলাদেশের কোথাও কি দেখা যায়? যদি না দেখা যায়, তবে এটি আমাদের কোমলমতি ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কীভাবে গেল?

শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন তাজমেরী ইসলাম, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহসহ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও পেশাজীবী নেতারা।