দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে হামিদ উল্লাহ নামে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। উপজেলার ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তে সংঘটিত এই সংঘর্ষে এক শিশুসহ আহত হয়েছে আরও ২ জন।

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেস, বিকেলে কক্সবাজারের সদর হাসপাতালের মর্গে এ রোহিঙ্গার মরদেহ নেওয়া হয়। মুহিবুল্লাহ (২৫) নামে আরও এক রোহিঙ্গকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. আশেকুর রহমান জানান, বিকেল সাড়ে ৫টায় এক রোহিঙ্গার মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মর্গে আনা হয়েচে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) তার ময়নাতদন্ত করা হবে।

এমএসএফ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে সহিংস ঘটনায় এমএসএফ কুতুপালং হাসপাতালে শিশুসহ তিনজনকে আনা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন মৃত ছিলেন।

কুতুপালং ক্যাম্পের এপিবিএন ১৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত সৈয়দ হারুন অর রশীদ জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেছেন, ঘটনাটি শূন্যরেখায় হওয়ায় আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে বিজিবি সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই। তারপরও সীমান্তের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থানে আছে বিজিবি। এছাড়াও প্রশাসন থেকে এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখছে।