কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহতের জেরে আবারো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পুলিশি নির্যাতনে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ নিহতের জেরে আবারো উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন শহরে চলছে বিক্ষোভ। মেমফিসে ২৯ বছর বয়সী টায়ার নিকোলস হত্যার বিচার চান তারা। এ ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
তিন বছরের মাথায় যুক্তরাষ্ট্রে আবারো ফিরে এলো জর্জ ফ্লয়েড হত্যার ছায়া। পুলিশি নির্যাতনে এবার প্রাণ গেছে ২৯ বছরের কৃষ্ণাঙ্গ তরুন টায়ার নিকোলসের।
স্বজনদের দাবি মুখে টায়ার নিকোলসকে গ্রেপ্তারের ভিডিও প্রকাশ করে পুলিশ। ভাইরাল হওয়া ৩১ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়োতে কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে বেধড়ক মারধর করতে দেখা গিয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয় নিকোলসকে। মাটিতে ফেলে পরপর মারা হয় লাথি। হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়। পানি খেতে চাইলেও, দেওয়া হয়নি তাকে। যন্ত্রণায় এক পর্যায়ে মায়ের নাম ধরে কেঁদে ওঠেন নিকোলাস।
এই ভিডিও প্রকাশের পর বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে বিক্ষুব্ধুরা। নিকোলসের শহর মেমফিসতো বটেই, নিউইয়র্ক, ডেট্রয়েটসহ বিভিন্ন শহরে হয়েছে বিক্ষোভ।
নিকোলসের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় নিজের সন্তান হারানোর কথা তুলে ধরেন তিনি। বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মীও কৃষ্ণাঙ্গ। কেন তাঁরা নিকোলাসের উপর হামলা চালিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ কর্মীকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধেও আইনি পদক্ষেপ চান নিকোলসের আইনজীবী।
৭ জানুয়ারি টেনেসির দক্ষিণাঞ্চলের মেমফিসে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও ট্রাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে নিকোলাসকে আটক করে পুলিশ। নির্যাতনের এক পর্যায়ে নিকোলাস জ্ঞান হারালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ১০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তার।