দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের কাছে উড়ে গেছে মিশরীয় ক্লাব আল আহলি। ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে পাওয়া জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ।

 

আল আহলির বিপক্ষে রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি একাদশে কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে রাখতে পারেননি। ইনজুরির কারণে ছিলেন না করিম বেনজেমা, গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া।

রাবাতের প্রিন্স মৌলায়ে আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। যদিও আল আহলির গোলমুখ খুলতে পারছিলো না রিয়াল মাদ্রিদ। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে মাদ্রিদের নাভিঃশ্বাস তুলে দিচ্ছিলো তারা। ২৮ মিনিটের সময় গোল পেতে পারতো ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। খানিক বাদে রদ্রিগোর শট পোস্টে থেকে ফিরে আসে।

অবশেষে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অসাধারণ গোলে মিশরীয় ক্লাবটির প্রতিরোধ ভেঙে দেয় লজ ব্লাঙ্কোজরা। আল আহলির আলিউ দিয়েঙ একটি দুর্বল পাস দেন মাহমুদ মিতওয়ালিকে। যেখানে ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বলটি সহজেই নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি। এরপরই গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বলটি তিনি পাঠিয়ে দেন আল আহলির জালে। রিয়ালের হয়ে ২০২ ম্যাচে ৫০ তম গোল করলেন এই ব্রাজিলিয়ান।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপরই রিয়ালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেডে ভালভার্দে। রদ্রিগোর পয়েন্ট ব্লাঙ্ক স্ট্রাইককে অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন আল আহলির গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বলটিই একেবারে ফাঁকা জালে পেয়ে যান ভালভার্দে। ভুল করার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং, ব্যবধান হয়ে গেলো ২-০।

এরপর আরও দুটি অসাধারণ সুযোগ মিস করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এগুলো কাজে লাগলে ব্যবধানটা আরো বাড়তে পারতো। উল্টো আল আহলি লাইফলাইন পেয়ে যায় ৬৫তম মিনিটে। এ সময় বক্সের মধ্যে আল আহলির হুসেইন এল সাহাতকে ফেলে দেন এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিককে রিয়ালের জালে জড়ান আলি মালোউল।

এই গোলের কিছুক্ষণ পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো আল আহলি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে পেনাল্টি পেয়েছিলো রিয়াল। কিন্তু লুকা মদ্রিচ সেই পেনাল্টি মিস করেন।

কিন্তু ইনজুরি সময়ে গিয়ে আবারও জ্বলে ওঠে রিয়াল। এবার গোল করে তারা ২টি। ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো গোল করেন ৯০+২ মিনিটে। এরপর ৬ মিনিট পর, ৯০+৮ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন সার্জিও আরিবাস।