রংপুরকে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) নবম আসরে শেষদিকের পর্বে সবার চোখ ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্সে খেলার প্রতি। এই ম্যাচে রংপুরের বিপক্ষে বিরাট জয়ে শীর্ষ দুইয়ে অবস্থান করছে কুমিল্লা। এদিন শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে সেই লড়াইয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
বিপিএলের ইতিহাসে টানা রেকর্ড নয় জয় তুলে নিয়ে দলটি । মিরপুরে রংপুরকে ৭০ রানে হারিয়েছে কুমিল্লা। শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন মাঠে নামার আগে কুমিল্লা এবং রংপুর দুই দলই সমান ১৬ পয়েন্ট নিয়ে মাঠে নেমেছিল। যেখানে রংপুর .৫১২ নেট রান রেট নিয়ে দুইয়ে ছিল। অন্যদিকে কুমিল্লা .৪৬৬ নিয়ে ছিল তিনে। দুইয়ে ওঠার লড়াইয়ে মিরপুরে এদিন টসে জিতে কুমিল্লাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রংপুর।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তোলে ইমরুল কায়েসের দল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭ ওভারে ১০৭ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় রংপুর শিবির। টানা ছয় ম্যাচ জয় পাওয়ার পর থামলো রংপুরের জয়রথ। কুমিল্লা এই জয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সের সমান ১৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে। তবে দলটির চেয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থেকে দুইয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে কুমিল্লাকে। সিলেটের নেট রান রেট যেখানে .৭৩৭। সেখানে কুমিল্লার নেট রান রেট .৭২৩। মিরপুরে এদিন রংপুরকে হারানোর ম্যাচে কুমিল্লার পক্ষে ব্যাট হাতে আলো ছড়িয়েছেন লিটন দাস। এই ব্যাটসম্যান কুমিল্লার পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেছেন, ৩টি করে চার-ছয়ের মারে। এছাড়াও খুশদিল শাহ খেলেন ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছয়ে ৪০ রানের ইনিংস। জাকের আলী অনিকের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় রংপুর। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে নুরুল হাসান সোহানের দল। সেখান থেকে আর বেরোতে পারেনি দলটি। রংপুরের ইনিংসের পুরোটা সময় সেই চাপ ধরে রাখে কুমিল্লার বোলাররা। রংপুরের রহমানউল্লাহ গুরবাজের ২৯, আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ১৫, রাকিবুলের ১৬ রানে ভর করে দলটি একশ পেরোয়। এদিন বল হাতে মুস্তাফিজ ছিলেন বিধ্বংসী। মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়াও সুনীল নারিন এবং তানভীর ইসলাম ২টি করে উইকেট নিয়ে রংপুরের টপ অর্ডার ধ্বসিয়ে দেন।