পদত্যাগের পর মন্ত্রীদের কাজ ‘রাষ্ট্রদ্রোহীতা’
দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সহ-সভাপতি ও প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রীরা যে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন, সে মুহুর্ত থেকে তা কার্যকর হয়ে গেছে। এরপর মন্ত্রীরা যা করবেন, তা ‘রাষ্ট্রদ্রোহীতা’র সমতুল্য।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)এর একাংশ আয়োজিত পেশাজীবীদের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গণমাধ্যম দমন ও দেশের বিরামজমান পরিস্থিতি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
‘সংবিধান থেকে এক চুলও নড়ব না’ প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমি বলি, প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের এক চুলও মানবেন না। আসলে তিনি চমক দেখাবেন। এ কারণে সংবিধান বহির্ভূত সর্বদলীয় সরকারের নামে একদলীয় নির্বাচন করতে বসে আছেন।’
‘প্রধানমন্ত্রীত্ব চাই না, শান্তি চাই’- আলেমদের সমাবেশে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমার লজ্জা হয়, মুসলমান হয়ে আলেমদের সামনে তিনি কান্নার ভাব ধরে মিথ্যা কথা বলেছেন। আসলে তার মনে এক, চোখের আর মুখের ভাষা আরেক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর লজ্জা হয় না, সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নৌকায় ভোট চান। তার সঙ্গে এনেছেন ছেলেকে। কেন এই ‘নাবালক’ শিশুটিকে রাজনীতিতে আনলেন? তার মতো সুন্দর-শিক্ষিত একটি ছেলেকে নিজের অশুভ চিন্তার সঙ্গী করে রাজনীতিতে আনলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভাবছেন, চমক দেখাবেন, আর মানুষ তার প্রতারণামূলক বক্তব্যে নৌকায় ভোট দেবেন। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে গণবিস্ফোরণের অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সব প্রতারণা ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে। বাঁচতে চাইলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নিন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী লিখিত বক্তব্যে গণতন্ত্রের নামে ‘অসভ্য’ আচরণ বন্ধ করে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
লিখিত বক্তব্যে আমার দেশ পত্রিকা, দিগন্ত ও ইসলামিক টেলিভিশন বন্ধ করা, ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিনের বাসায় পুলিশের তল্লাশি, সাংবাদিক আমীর খসরু, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবীরের মেয়েকে অপহরণের হুমকি, অধ্যাপক পিয়াস করিমের বাসায় বোমা হামলার নিন্দা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পেশাজীবী নেতারা বলেন, একদলীয় নির্বাচন হলে দেশের চরম অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হবে। এর জন্য দায়ী হবে সরকার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএমএ-এর সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এমএ মাজেদ, ঢাকা বিশ্ববিদালরে সাবেক উপ-উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ডিইউজের সভাপতি আবদুল হাই সিকদার, ড্যাবের সভাপতি আজিজুল হক, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম প্রমুখ
(দিরিপোর্ট২৪/টিএস/এসবি/নভেম্বর ১২, ২০১৩)