দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি এলে আওয়ামী লীগের হৃদকম্পন শুরু হয়ে যায়। খালেদা জিয়া নয়, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ ও তৎকালীন সরকার জড়িত। আওয়ামী লীগের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও চক্রান্তে বিডিআর হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। বাংলাদেশকে দুর্বল জাতিতে পরিণত করতে এ হত্যাকাণ্ড।

 

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলোনায়তনে পিলখানা ট্র্যাজেডির বর্ষপূর্তির আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতি আজ অস্তিত্ব সংকটে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে এমন সংকট তৈরি হয়। আওয়ামী লীগ দেশের সমস্ত অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে। একদলীয় শাসন কায়েম করে ত্রাসের রাজত্বের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘জেলা পর্যায়ে বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় বাধা দেওয়া হয়েছে। বিএনপি কর্তৃত্ববাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই দেশ রক্ষায় বিএনপি রাস্তায় নেমেছে। ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন দমাতে গুলি করে ১৭ জনকে হত্যা করা হয়েছে। দুর্বিষহ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। রাজপথেই ফয়সালা করতে হবে। প্রতিবছর শোক পালন না করে বেরিয়ে আসতে হবে। ছাত্র, যুব, তারুণ্যকে আবারও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবখানে সরকারের প্রতি মানুষের ঘৃণা। কেউ আজ নিরাপদ নয়। দেশকে রক্ষায় দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণবিপ্লব, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকারকে পরাজিত করা হবে। ’ তিনি বলেন, ‘কোনো নির্বাচন নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন বাংলাদেশে হতে দেওয়া হবে না। ’

‘ভীত হয়ে আবারও একতরফা নির্বাচনের ছক আঁকছে সরকার’

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেই বিডিআর হত্যাকাণ্ড হয়েছে। তদন্ত কমিটি করা হলেও আসল তথ্য উন্মোচন করা হয়নি। আমাদের দাবি সেই রিপোর্ট জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে। ’