দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : বর্তমান সরকারের সময় যারা দুর্নীতি করেছে তাদেরকে রক্ষা করতেই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন সংশোধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের দক্ষিণ হলে মঙ্গলবার দুপুর ২টায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন দুদক আইনের সংশোধনীকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে আইনটি অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সংসদ চলাকালে স্পীকারের পুর্বানুমতি না নিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও এমকে আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যা সম্পর্ণ অবৈধ। অবিলম্বে বিএনপির গ্রেফতার হওয়া সকল নেতাকর্মীকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন মাহবুব উদ্দিন।

এ সময় নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠনেরও দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনও বক্তব্য দেন।

এছাড়া এবিএম ওয়ালিউর রহমান, গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী আলাল, জামিন আক্তার ইলাহী, ফখরুল ইসলাম, কাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, আঞ্জুমান আরা মুন্নি, মির্জা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

মাহবুব উদ্দিন খোকন লিখিত বক্তব্যে সংশোধীত দুদক আইন উল্লেখ করে বলেন, সরকারের অনুমোদন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জজ ও ম্যাজিস্ট্রেটদের বিরুদ্ধে দুদক কোন মামলা করতে পারবে না। অর্থাৎ উল্লেখিত এসব পদ ছাড়া বাকি নাগরিক কিংবা বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি কিংবা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে দুদক সরাসরি মামলা করতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি প্রয়োজন হবে না। যা সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। কারণ সংবিধানের এই ধারায় বলা হয়েছে, আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় পাওয়ার অধিকারী। নির্বাচনের আগে এ ধরনের আইন পাশ উদ্দেশ্যমূলক।

তিনি অভিযোগ করেন, গত ৫ বছরে যে সকল সরকারি কর্মকর্তা মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের দুর্নীতি করতে সহায়তা করেছে তাদেরকে রক্ষা করতেই এই সংশোধনী আনা হয়েছে।

এই সংশোধীত আইন পাশের মাধ্যমে দুদককে সম্পর্ণ অকার্যকর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জয়নুল আবেদীন বলেন, আইন সংশোধন করে করে দেশের নাগরিকদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে। এছাড়া যে সংসদে আইনটির সংশোধনী পাশ করা হয়েছে সে এখতিয়ার বর্তমান সংসদের নেই। অনেক আগেই এই সংশোধনের বৈধতা হারিয়েছে। তাই আইনজীবী হিসেবে আইনটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।

(দিরিপোর্ট২৪/এআইপি/এসবি/নভেম্বর ১২, ২০১৩)