টুঈটার কার্যালয়ে দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরেন মাস্ক
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: টুইটার কার্যালয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির নতুন মালিক ইলন মাস্ক। সেখানে সবসময় ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন টুইটারের একজন প্রকৌশলী।
টুইটার হেডকোয়ার্টারে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরে বেড়ান ইলন মাস্ক। এমনকি তিনি বাথরুমে গেলেও এই দেহরক্ষীরা দাঁড়িয়ে থাকেন দরজায়। সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেআরেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার যা প্রকাশ করেছে আরেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউজব্রেক।। বিবিসিকে টুইটার ও টেসলা প্রধানের দেহরক্ষীদের বর্ণনা দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টুইটারে কর্মরত একজন প্রকৌশলী। লম্বা ও পেশীবহুল চেহারার দেহরক্ষীদের চেহারা অনেকটাই ‘ভয়ানক’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। ওই প্রকৌশলীর মতে, ইলন মাস্কের দেহরক্ষীরা যেন উঠে এসেছেন হলিউডের কোনো চলচ্চিত্র থেকে।
বিশ্বের শীর্ষ নির্বাহীদের দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার পেছনেও যথেষ্ট অর্থ খরচ করে থাকেন। ২০২৩ সালে প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এক কোটি৪০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছে মেটা প্লাটফর্ম।
জানা গেছে, সান ফ্রান্সিসকোতে অবস্থিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির হেডকোয়ার্টারে যথেষ্ট নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন ইলন মাস্ক। নতুন কেনা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের খুব একটা বিশ্বাস করেন না তিনি। এ কারণেই টু্ইটার কার্যালয়ে অবস্থানের সময়, এমনকি বাথরুমের দরজাতেও দেহরক্ষীদের দাঁড় করিয়ে রাখেন তিনি। এ ব্যাপারে ইলন মাস্ক ও টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাদের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
অবশ্য নিজের নিরাপত্তার জন্য বেশ খুঁতখুঁতে ইলন মাস্ক।তবে শুধু নিজের জন্যই নয়, পরিবারের অন্য সদস্যদের নিরাপত্তার ব্যাপারেও যথেষ্ট সচেতন ইলন মাস্ক। দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থিত তারবাবা এরোল মাস্কের বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীসহ সব ধরনের অত্যাধুনিক নিরাপত্তা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করেছেন মাস্ক। অবশ্য অপরাধপ্রবণ দক্ষিণ আফ্রিকায় তার বাবাকে অপহরণের হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে এর আগে খবর প্রকাশ হয় সংবাদমাধ্যমে। যার প্রেক্ষিতেএরোল মাস্কের নিরাপত্তার জন্য শতাধিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ দেন মাস্ক।