সীতাকুন্ড বিস্ফোরন: তদন্ত কমিটি আজ প্রতিবেদন জমা দেবে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সীমা অক্সিজেন লিমিটেড পরিচালনায় নানা অনিয়ম ও ঘাটতির পাশাপাশি সরকারি দপ্তরের তদারকির অসঙ্গতি পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিস্ফোরণে আধা কিলোমিটার দূরে লোহার টুকরা উড়ে গিয়ে নিহতের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে তদন্ত কমিটিকে।
এ ধরনের ঘটনা কীভাবে এড়ানো যায়, সে বিষয়ে ৯টি সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়ার পর প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। গত ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকার সীমা অক্সিজেন কারখানায় বিস্ফোরণের পর সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলা প্রশাসক। কমিটিকে ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং ভবিষ্যতে কীভাবে তা এড়ানো যায়, সে সম্পর্কে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। এক দফা সময় বাড়িয়ে মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রস্তুত। প্রতিবেদন পাওয়ার পর তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে। আট পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে নয়টি সুপারিশ থাকছে। প্রতিবেদন তৈরির সময় অগ্নিনির্বাপক, বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র এবং সে অনুযায়ী তদারকি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখেছে। কারখানাটির সরকারি কিছু ছাড়পত্র কেবল কাগজ নির্ভর ছিল বলে তদন্তসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া তদন্ত কমিটি এত দূর পর্যন্ত কীভাবে লোহার বড় বড় টুকরা উড়ে গেল, তা নিয়ে বিশদ তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। ভবিষ্যতে কারখানা অনুমোদন দেওয়ার সময় আশপাশের জনবসতিসহ নানা বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বনের সুপারিশ করা হয়েছে। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজন মারা যান। আহত হন অন্তত ২৫ জন।