বিদেশি বিনিয়োগে এক নম্বরই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র : রাষ্ট্রদূত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এক নম্বরে আছে এবং ভবিষ্যতেও এই স্থান ধরে রাখবে। এ মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগে নম্বর ওয়ান। আগামীতেও আমাদের বিনিয়োগের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা এ দেশে বিদেশি বিনিয়োগে এক নম্বরই থাকবো।’
বুধবার ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনকালে বক্তব্য দেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, চেয়ারম্যান মো. নূর আলী।
সকাল ৯টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে করে বিদ্যুৎকেন্দ্রে গিয়ে পৌঁছান পিটার হাস। সেখানে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। বিদ্যুৎকেন্দ্রের অফিস প্রাঙ্গণে পৌঁছানোর পর পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা টিম পিটার হাস ও অন্যান্য অতিথিদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জিই গ্যাস পাওয়ারের সাইট ম্যানেজার কালুম ডেভিড কর্নফর্থ রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থার বর্ণনা দেন।
নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাসভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড ও জিই-এর কনসোর্টিয়াম ২০১৮ সালের ২৫ জুন জিইকে এ প্রকল্পের ঠিকাদার বা ইপিসি নিযুক্ত করে। পরে নেব্রাস পাওয়ার কিউ.পি.এস.সির প্রতিষ্ঠান নেব্রাস পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বি.ভি. ২৪ শতাংশ ইক্যুইটি অংশীদারত্ব নিয়ে প্রকল্পে যুক্ত হয়।
প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে সরকার ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ), বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডি) সঙ্গে পিপিএ (পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট) এবং ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে গ্যাস সরবরাহ চুক্তি (জিএসএ) হয়। উদ্যোক্তা কোম্পানির সঙ্গে ২০১৯ সালের ৩০ আগস্ট টার্ন-কি ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল ইলেকট্রিকের (জিই) ঠিকাদারি চুক্তি হয়। জিই এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূল যন্ত্রপাতি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।
প্রকল্প উদ্যোক্তাদের ২৫ শতাংশ ইক্যুইটি বিনিয়োগ রয়েছে। প্রকল্প ব্যয়ের বাকি ৭৫ শতাংশ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (সুইস ইসিই-এসইআরভি কভার লেন্ডার), এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি), জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (ডিইজি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি) দিয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/মুনিয়া