বিএনপি থেকে বহিস্কার সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। শওকত মাহমুদ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া বিএনপির সমর্থিত সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়কও ছিলেন। ২০১৬ সাল থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শওকত মাহমুদ।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) দুপুরে বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক মো. তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে লিপ্ত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলীয় সুত্রে পাওয়া খবরে জানা যায় ,বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে‘ন্যাশনাল কমিটি ফর সিভিল রাইটস জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’নামে নাগরিক অধিকার বিষয়ক একটি সংগঠন করা হয়। এই কমিটির আহ্বায়ক কবি ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ মজহার, সদস্যসচিব সাংবাদিক শওকত মাহমুদ। যদিও সংগঠনটি ১০ বছরের পুরনো।বৃহস্পতিবারসন্ধ্যায় জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়ে নৈশভোজ করায়। সেখানে সংগঠনের সদস্যসচিব শওকত মাহমুদ ইনসাফ কায়েম কমিটির পক্ষে প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকারকে নতুন সংবিধান প্রণয়ন ও তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে অভিমত দিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে ,গত বছরের ৬ এপ্রিল দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পেশাজীবীদের ব্যানারে ওই সমাবেশ করায় শওকত মাহমুদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছিল বিএনপি। ওই বছরের ২৭ মার্চ ‘পেশাজীবী সমাজের’ ব্যানারে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির’ দাবিতে সমাবেশ হয়। এতে শওকত মাহমুদসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। একই অনুষ্ঠানে লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দীও উপস্থিত ছিলেন।
শওকত মাহমুদ বিএনপির পঞ্চম জাতীয় কাউন্সিলে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে মনোনীত হন। পরে ৬ষ্ঠ কাউন্সিলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাংবাদিক এ নেতা।