আইপিও অনুমোদনে দুর্নীতির অভিযোগ
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের দুর্নীতি তদন্তে আরো সময় চায় কমিটি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের আইপিও’র অনুমোদনে দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি আবারো সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। এই নিয়ে কমিটি ৪র্থ বারের মতো সময় বাড়ানোর আবেদন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে। এর ফলে বিলম্বিত তদন্তে দোষীরা পার পেয়ে যায় কীনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের( বিএসইসি) পরিচালক আবুল কালামের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে নানা ধরণের কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে। তবে বার বার সময় নেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া যেমন বিচারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তেমনি বিলম্বিত তদন্ত অপরাধীকে ছাড় পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করে কী না?
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে মোট পাঁচটি বিষয় নিয়ে তদন্তে নেমেছে কমিটি। তদন্তের স্বার্থে তা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল কালাম। দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন,"আমরা তদন্তের জন্য সময় চেয়ে কমিশনের কাছে আবেদন করেছি। তবে এখনো সময় বরাদ্দ হয়নি"। কোন কোন বিষয়ে নিয়ে তদন্ত করছেন জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যের সম্পত্তিকে নিজেদের সম্পত্তি হিসেবে দাখিল করা ও সম্পত্তির অবিশ্বাস্য অতিমূল্যায়নের অভিযোগে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের আইপিওর অনুমোদন স্থগিত করা হয় শেয়ার ছাড়ার ঠিক আগের দিন। গত বছরের ৩১শে আগষ্ট কমিশন সভা থেকে কোম্পানিকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছেড়ে টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় বিএসইসি। ১৬ জানুয়ারি থেকে ২২ জানুয়ারি লটারীর মাধ্যমে শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন ছিলো। প্রাথমিক শেয়ার বাজার থেকে ৯৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করার কথা ছিলো। কিন্তু কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অন্যের সম্পত্তি নিজের বলে দাখিল করা ও সম্পত্তির অবিশ্বাস্য অতিমূল্যায়নের অভিযোগ উঠে । এ অভিযোগের প্রমাণপত্র সহ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। এর পরপরই বিএসইসি আইপিও প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় এই বছরের ১৫ জানুয়ারি।গঠন করে তদন্ত কমিটি।
যে অভিযোগের কারণে আইপিওর প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কারওয়ান বাজার মৌজাস্থিত ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ সম্পত্তিটির মালিক রাজধানীর ১১/৮/সি, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট নিবাসী একেএম খোরশেদ আলমের সম্পত্তির ওপর রয়েছে ৮ তলা ভবন। এটি বন্ধক রেখে অগ্রণী ব্যাংক আমিনকোর্ট শাখা থেকে ঋণ নিয়েছেন তিনি। যে দলিলের মাধ্যমে সম্পত্তিটি অগ্রণী ব্যাংকের কাছে বন্ধক রেখেছেন সেটির নম্বর-৩৩৫২। দলিলটি সম্পাদিত হয়েছে ২০১৩ সালে তেজগাঁও সাব রেজিস্ট্রি অফিসে। তৎকালিন সাব-রেজিস্ট্রার এসএম সোহেল রানা মিলনের স্বাক্ষরে দলিলটির নিবন্ধন হয়। দলিলটি ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ হওয়ায় সম্পত্তির মূল্যমান ছিল অনির্ধারিত। এই দলিলের সম্পত্তিই ‘নিজের’ দাবি করে আইপিওর অনুমোদন পায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড নামের ওষুধ কোম্পানি।
প্রসপেক্টাসের তথ্যমতে, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারের কাট-অফ প্রাইস নির্ধারিত হয়েছিলো ৫০ টাকা। সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এই ৫০ টাকার ৩০% ডিসকাউন্ট অর্থাৎ ৩৫ টাকা অথবা ২০ টাকা, যেটি কম সে মূল্যে শেয়ার পাবেন। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের প্রতিটি শেয়ার ২০ টাকা করে কিনতে পারবেন।
অভিযোগ উঠেছে, কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ৯৫ কোটি টাকা তুলতে ভয়াবহ জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে ।
আইপিও অনুমোদনপ্রাপ্তিসহ সব ধরনের সহায়তা করে মার্চেন্ট ব্যাংক ,বিএসইসি,অডিট ফার্ম একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার শক্তিশালী সিন্ডিকেট।অনুসন্ধানে জানা যায়, বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ হাতিয়ে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড সম্পত্তির মূল্য দেখিয়েছে ১৪ গুণ বেশি। পুঁজিবাজারের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যেই প্রিমিয়াম বেশি আদায় ও বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করতে পারিবারিক ওষুধ কোম্পানিটি আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে অতিরঞ্জিত ও ভুয়া তথ্য। চাহিদা অনুযায়ী আর্থিক প্রতিবেদনটি তৈরি করে দেয় ‘আশরাফউদ্দিন অ্যান্ড কোং’ নামের একটি অডিট প্রতিষ্ঠান। আর শেয়ার ইস্যু করেছে ‘শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট’ ।
এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লি:-এর আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালে হঠাৎ করেই ৮৭ কোটি টাকা মূলধনের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। অর্থাৎ মাত্র ২ বছরে ওষুধ কোম্পানিটির মূলধন বেড়ে যায় ৮৭ গুণ। কীভাবে ঘটল মূলধনের এই স্ফীতি? প্রসপেক্টাসে অবিশ্বাস্য এই পুঁজি বৃদ্ধির কোনো ব্যাখ্যা নেই।
প্রসপেক্টাসের ১২ নম্বর পৃষ্ঠায় পরিশোধিত মূলধনের কিছু তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, ১৯৭০ সালে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের পরিশোধিত মুলধন ছিলো মাত্র ১ হাজার টাকা। ১৯৯৮ এটি উন্নীত হয় ৭০ হাজার ৩৫০ টাকায়। অর্থাৎ ২৮ বছর প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়েছে ১০০০ টাকা মূলধন নিয়ে। ২০০৫ সালে মুলধন দাঁড়ায় ৮ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। আইপিওর অনুমোদন পেতে হঠাৎ করেই কোম্পানিটি মূলধন দেখায় ৮০ কোটি ৪০ লাখ ৯ হাজার ৬৫০ টাকার নগদ ডিপোজিট। সাড়ে ৬ কোটি টাকার বোনাস শেয়ার দিয়ে মূলধন হয়ে যায় ৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এ ক্ষেত্রে মালিকানাধীন সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয় ওই সময়ে সংশ্লিষ্ট মৌজা মূল্যের চেয়ে অন্তত ১৪ গুণ বেশি।
২০১৪ সালে গাজীপুর কালিয়াকৈরে মৌজা দর ছিল কাঠাপ্রতি ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু ১৩ থেকে ১৪ লাখ টাকা করে কাঠা মূল্য ধরে দলিল করে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লি:। এভাবে ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কালিয়াকৈর মৌজায় মোট সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয় ১১ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। ২০১৬ সালেই গাজীপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মূল্য তালিকায় কালিয়াকৈর ঠাকুরপাড়া মৌজায় এক ডেসিমেল জমির সর্বোচ্চ দাম ছিল ৪৫ হাজার ৬৭৬ টাকা। ওই মৌজায় ৫৪২ ডেসিমেল জমি দেখায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ। এর মধ্যে ২০১০ সালে ২৫০ডেসিমেল জমির মূল্য দেখায় ৫ কোটি টাকা। ২০১৪ সালে খরিদকৃত ১৩২ ডেসিমেল জমির দলিল মূল্য দেখানো হয় ২ কোটি ৯০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। একই বছর মার্চে কেনা হয় ৯৪ ডেসিমেল জমি। মে মাসে কেনা হয় ৬৬ ডেসিমেল জমি। এ দু’টির মূল্য যথাক্রমে ২ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ১ কোটি ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। ওই সময় গাজীপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দলিলে একক কাঠা জমির মূল্য ১৩ থেকে ১৪ গুণ বেশি উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে টঙ্গীর মাছিমপুর মৌজায় এক ডেসিমেল জমির সর্বোচ্চ মূল্য ছিল ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৩১৮ টাকা। কিন্তু এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ এখানকার জমিগুলোত ক্রয় মূল্যের ব্যবধান রয়েছে অন্তত ১০ কোটি টাকা। রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পএলাকায় প্রতি ডেসিমেল জমির মৌজা রেট ছিল ৩৪ লাখ ৪ হাজার ৮০০ টাকা। এ হিসেবে ৩৩ ডেসিমেল জায়গার দাম ১১ কোটি সাড়ে ২৩ লাখ টাকা। কিন্তু এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ দেখিয়েছে ৩২ কোটি টাকা। তেজগাঁওয়ের এই সম্পত্তির প্রকৃত মালিকানা নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে বিরাট প্রশ্ন। প্রসপেক্টাসে জমির যে দলিল নম্বর (৩৩৫২) এবং সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল সম্পাদিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ রয়েছে সেটির প্রকৃত মালিক জনৈক একেএম খোরশেদ আলম। এটি ছিল হাবিব ব্যাংকের সম্পত্তি। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট অর্ডার মূলেসম্পত্তিটি জাতীয়করণ করা হয়। ওই ব্যাংক সম্পত্তিটি নিলামে তুললে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শোলা গ্রামের মরহুম মৌলভী গগন আলী খানের পুত্র একেএম খোরশেদ আলম সম্পত্তিটি কেনেন। এই সম্পত্তি বন্ধক দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। দলিল লেখক দলিলটি পেশ করলে তৎকালিন সাব- রেজিস্ট্রার এসএম সোহেল রানা ১৬/০৭/২০১৩ তারিখ স্বাক্ষর করেন। কোম্পানির প্রসপেক্টাসে তেজগাঁওয়ের সম্পত্তিটির ‘দলিল মূল্য’ উল্লেখ করেছেন ৩২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া প্রসপেক্টাসের বিভিন্ন স্থানে অন্তত : ৭টি সম্পত্তির মালিকানা দাবি করে এসবের মূল্যমান উল্লেখ করে। এর মধ্যে রয়েছে গাজীপুর কালিয়াকৈর, ঠাকুরপাড়ায় ২৫০ ডেসিমেল জমি (দলিল নং-৬৪৯১, মূল্য- ৫০০০০০০০ টাকা), একই এলাকায় ১৩২ ডেসিমেল জমি (দলিল নং-৬৪৮৮, মূল্য- ২৯০,৪০০০০ টাকা), ঠাকুরপাড়ায় ৯৪ ডেসিমেল জমি (দলিল নং-১৮৮৯, মূল্য- ২০,৬৮০০০০ টাকা), একই মৌজায় ৬৬ ডেসিমেল জমি (দলিল নং-৬৫০০, মূল্য- ১৪,৫২০০০০ টাকা), টঙ্গির মাছিমপুর মৌজায় ৯২.৮ ডেসিমেল জমি (দলিল নং-১১৮০৫, মূল্য-৪১৭৯০০০০০ টাকা), টঙ্গির একই মৌজার ০.৬ ডেসিমেল জমি (দলিল নং- ১৯০৮০, মূল্য-২,৭০০০০০ টাকা) এবং ঢাকার তেজগাঁও মৌজায় ৩৩ ডেসিমেল জমি (দলিল নং-৩৩৫২, মূল্য-৩২৫০০০০০০ টাকা)। কোম্পানির উল্লেখিত সব সম্পত্তিরমোট মূল্য দেখানো হয়েছে ৮৫ কোটি ৯৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর বাইরে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন খরচ-৯৪,৫৭৭,৪৪৯ টাকা। জমির উন্নয়ন খরচ-৩৬৮,৬০৩,০২৪ টাকা। এভাবে কোম্পানির মোট সম্পত্তির মূল্য দেখানো হয়েছে ১৩২ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার ৪৭৩ টাকা। ৩০৪ পৃষ্ঠার এই প্রসপেক্টাসের ৯৯ নম্বর পৃষ্ঠায় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের সম্পত্তির এই মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই সম্পত্তির এই হিসেবকে গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড একচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটিকে আইপিও ছাড়ার অনুমোদনও দিয়েছে।অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় প্রতিবেদক একেএম খোরশেদ আলম খানকে খুঁজে বের করেন। এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড’র প্রসপেক্টাসে নিজ দলিলের উল্লেখ দেখে তিনি আকাশ থেকে পড়েন। খোরশেদ আলম বলেন, এটি কেমন করে এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের সম্পত্তি হলো? দলিলে উল্লেখিত তফসিলভুক্ত সম্পত্তির মালিক আমি। এটি এখন অগ্রণী ব্যাংকে বন্ধক রয়েছে। ভুক্তভোগী খোরশেদ আলম খান কোনো জালিয়াতচক্রের খপ্পরে পড়েছেন-নিশ্চিত হন। আইনগত পদক্ষেপ নিতে তিনি তৎক্ষণাৎ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ছুটে যান। কিন্তু রহস্যজনক কারণে থানা- পুলিশ তার সাধারণ ডায়েরি পর্যন্ত গ্রহণ করেনি।
বিএসইসির তদন্ত নিয়ে কথা হয় এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড’র কোম্পানি সচিব ইশতিয়াক আহমেদের সঙ্গে। দ্য রিপোর্টকে তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি যেসব কাগজপত্র চেয়েছে বা চাচ্ছে তা আমরা সরবরাহ করছি বা করে যাবো। আমাদের সব হিসেব সঠিক রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইশতিয়াক আহমদে।
বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক (ক্যাপিটাল ইস্যু, মার্কেট সার্ভিলেন্স অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ও গণমাধ্যমের মুখপাত্র) মোহাম্মদ রেজাউল করিম দ্য রিপোর্টকে বলেন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড’র দাখিলকৃত জমির মালিকানা অন্যের বলে যে অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করবে কমিটি। এছাড়া জমি বা অন্যান্য সম্পত্তি অতিমূল্যায়িত করে দেখানো হয়েছে সেটাও তদন্ত করা হবে। যারা অডিটর বা ইস্যু ম্যানেজার তারা কোনো ধরনের অনিয়ম করেছে কী না তা দেখবে ওই তদন্ত কমিটি। তিনি বলেন এর আগে ওই কমিটি প্রথমে ৭ দিন পরে ১৬ দিন ও সবশেষে একমাস সময় নিয়েছে। আবারও সময় চেয়ে আবেদন করেছে কমিশনের কাছে।
(দ্য রিপোর্ট, টিআইএম/মাহা/২৩-০৩-২৩)