ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি টিআইবির
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামসকে তার বাসা থেকে গভীর রাতে তুলে নেয়া এবং ৩০ ঘণ্টা পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে টিআইবি এই নিন্দা জানায়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সাংবাদিক শামসের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটি মনে করে, এ ঘটনা একজন সাংবাদিক, দেশের একজন নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করেছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ ও প্রয়োজনে শায়েস্তা করার ভয়ংকর উদাহরণও তৈরি করেছে।
পুরো ঘটনাকে ন্যাক্কারজনক উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সংবাদকর্মী হিসেবে তো বটেই, একজন নাগরিক হিসেবেও শামসের সাংবিধানিক অধিকার মারাত্মকভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তিকে আইনগতভাবে আটক করা হলে আটকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আদালতে উপস্থাপনের যে বাধ্যবাধকতা আছে, পরিস্কারভাবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এক্ষেত্রে তা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি, যে মামলায় আটক দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে, সেটিও দায়ের করা হয়েছে তুলে নেওয়ার ২০ ঘণ্টা পরে। বৈশ্বিক মুক্ত গণমাধ্যম সূচক-২০২২ এর উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২ তে। যা কিনা তালেবান নিয়ন্ত্রিত আফগানিস্তানের (১৫৬) চেয়েও নিচে। এ অবস্থান নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও শাসকদলের মাধ্যমে তার যথেষ্ঠ অপপ্রয়োগের প্রতিফলন। তাই অবিলম্বে শামসের নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি গণমাধ্যম ও ভিন্ন মতাবলম্বীর কণ্ঠরোধকারী নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে টিআইবি।