দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছে।  

সোমবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে৷ শামসের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার এ তথ্য জানান।

প্রশান্ত কুমার বলেন, রোববার তার পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়েছে। আজ দুপুরে আবেদনের বিষয়ে শুনানি হবে।

গত ২৯ মার্চ ভোররাত চারটার দিকে সিআইডি পরিচয়ে শামসকে তুলে নিয়ে যায় সিআইডি। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওইদিন তার পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন।

গত ৩০ মার্চ ভোররাতে গোলাম কিবরিয়া নামে এক ব্যক্তি তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামসের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)২৬(২)২৯(১)৩১(২)৩৫(২) ধারার অভিযোগ আনা হয়।

পরদিন রমনা থানায় আরেকটি মামলা করেন আইনজীবী আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক। মামলায় প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, শামসুজ্জামান শামস ও অজ্ঞাতনামা ক্যামেরাম্যানকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলো একটি ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করে। প্রথম আলো পত্রিকা অফিস থেকে সংবাদটি শেয়ার করে। সংবাদটিতে দেখা যায়, একটি শিশু ফুল হাতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদকের দাবি শিশুটির নাম জাকির হোসেন।

রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, শিশু জাকির হোসেন বলে, পেটে ভাত না জুটলে স্বাধীনতা দিয়ে কি করুম। বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।

সংবাদটি দেশ বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালি গৌরবউজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বধীনতা অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

এই মামলায় রোববার হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন পান প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।