দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বেলারুশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত মিনস্কে বলেছেন, ন্যাটো দেশগুলির সীমান্তের কাছে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপন করবে রাশিয়া। গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের ঘোষণা করার পর রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের এ মন্তব্য পশ্চিমের সাথে উত্তেজনা বাড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাতার ভিত্তিকি সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

রোববার (২ এপ্রিল) রাতে বেলারুশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বরিস গ্রিজলভ বলেছেন , “নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপের অংশ হিসাবে অস্ত্রগুলি দেশের পশ্চিম সীমান্তে সরানো হবে। "বেলারুশিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে গ্রিজলভ বলেন, “ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।” এছাড়া অস্ত্রগুলো কোথায় রাখা হবে তা এখনও নিশ্চিত না, তবে ১ জুলাইয়ের মধ্যেই সব অস্ত্র জমা করা হবে বলে জানান তিনি।

বেলারুশের লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া এবং পোল্যান্ডের সাথে সীমান্ত রয়েছে, এরা সবাই ন্যাটোর সদস্য। মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ইউরোপে সোভিয়েত সম্প্রসারণ রোধ করার জন্য সামরিক জোট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার পর থেকে ন্যাটোর এস্তোনিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ডে অবস্থানরত তাদের সৈন্য সংখ্যা প্রায় দশগুণ বাড়িয়েছে। পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো শুক্রবার বলেছিলেন, রাশিয়ার কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রাগারের অবস্থানের সাথে রাশিয়ার কিছু কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র তার দেশের ভূখণ্ডে মোতায়েন করা যেতে পারে। কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র স্বাভাবিক অস্ত্রের তুলনায় স্বল্প পরিসরে কাজ করে এবং যুদ্ধক্ষেত্রে সীমিত হামলা চালানোর জন্য তৈরি করা হয়েছে।