চির নিদ্রায় শায়িত সাংবাদিক মতিনুজ্জামান মিটু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র রিপোর্টার মতিনুজ্জামান মিটু আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সোমবার রাতে হঠাত অসুস্থ হয়ে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
মতিনুজ্জামান মিটু ২০১৩ সালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোরে নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে ঢাকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। এর আগে তিনি যশোরে দীর্ঘকাল সাংবাদিকতা করেছেন। ছিলেন যশোর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও। দৈনিক আজকের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে যশোরে কাজ করেছেন তিনি।
আজ বিকেলে যশোর প্রেস ক্লাবে মতিনুজ্জামান মিটুকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। বাদ আছর জানাজা শেষে তাকে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তার মৃত্যুতে দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মিন্টু গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, সাংবাদিক মতিনুজ্জামান মিটুর স্ত্রী কয়েক বছর আগেই মারা যান। একমাত্র মেয়েকে নিয়ে তিনি ঢাকার মিরপুরে বাস করছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে বুকে ব্যথা হলে তাঁকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানেই ভোররাত পাঁচটার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুর ২ টায় তার মরদেহ প্রেসক্লাব যশোর চত্বরে আনা হয়। সেখানে তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান প্রেসক্লাবসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন। পরে কাজীপাড়া কাঠালতলাস্থ জামে মসজিদ চত্বরে বাদ আছর তার নামাজে জানাজা শেষে কারবালা কবরস্থানে দাফন করা হবে। সাংবাদিক মনিুজ্জামান মিঠু এক কন্যা সন্তানের জনক। কয়েক বছর আগে স্ত্রী হারান এই সাংবাদিক। এরপর তিনি নিজেও অসুস্থ হয়ে কয়েকবার হাসপাতালে গিয়েছেন। সর্বশেষ করোনাকালীন এবং গত প্রেসক্লাব যশোরের নিবার্চনের সময় তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই সময় তিনি প্রেসক্লাব নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
তিনি আজকের কাগজসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক কাগজে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের দু’বার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে জেলার সাংবাদিক অঙ্গণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সাংবাদিক মতিনুজ্জামান মিটু ২০১৩ সালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমে ঢাকা অফিসে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।