দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পলাতক থাকার কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের আইনি লড়াইয়ের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম এ আমিন উদ্দিন।

সোমবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ তথ্য জানান অ্যাটর্নি জেনারেল। তিনি বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থার যে ইতিহাস, সিআরপিসি প্রচলন থেকে আজ পর্যন্ত কোনো মামলাতেই কেউ আদালতে হাজির না হয়ে কোনো ধরনের সাবমিশন রাখতে পারে না।

এম এ আমিন উদ্দিন আরও বলেন,আমাদের সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায়ে বিভিন্ন সময়ে একদম স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, পলাতক ব্যক্তির আইনের আশ্রয় লাভের কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তারেক রহমান ও জোবায়দা যেহেতু পলাতক, তারা আদালতে আসেননি। তাই তারা কোনো ধরনের সাবমিশন করার সুযোগ পাবেন না। বিদেশ থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আবেদন করেন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা। যার শুনানি সোমবার হয়। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলার বাকি দুই আসামি তারেক রহমানের স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানু। ২০০৮ সালে তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।

এর আগে, গত ৩০ জানুয়ারি তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বাংলাদেশ সরকারি মুদ্রণালয় থেকে গেজেট প্রকাশ করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান। গেজেটে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালতের বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ রয়েছে যে, তারা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়ানোর জন্য আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাদের আগামী ধার্য তারিখের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে বিচারকার্য সম্পাদন করা হবে।

গত বছরের ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক ও জোবায়দার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। তারেক রহমানের শাশুড়ি মারা যাওয়ায় তাকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।