দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রদলের দাবি, ছাত্রলীগের হামলায় তাদের কমপক্ষে ৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালের বহির্বিভাগের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ছাত্রদল বলছে, ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকতের নির্দেশে এই হামলা হয়েছে। কিন্তু তানবীর বিষয়টি অস্বীকার করেন।


ছাত্রদলের দাবি, হামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের কর্মী আব্দুল্লাহেল কাফি গুরুতর আহত হন। আহতদের প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে এবং পরে কাকরাইলের ইসলামিয়া হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের চিকিৎসা চলছিল।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমরা ইফতারের পর মেডিক্যালের বহির্বিভাগের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হুট করে তারা মোটরসাইকেলে এসে কোনও কথাবার্তা ছাড়াই অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়। তারা যে কয়জনকে মেরেছে শুধু মাথার দিকে টার্গেট করে মেরেছে। আমরা মেডিক্যালের ভেতরে ঢুকেছি, সেখানে ঢুকেও মেরেছে। তারা সবাই সৈকতের অনুসারী।’ হামলায় জসিমউদদীন হলের সাবেক জিএস হাসান ইমাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাহিদ হাসান শাহীন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক তোফায়েল, সমাজসেবা সম্পাদক আশিক আকাশ, মুহসিন হলের মেহেদী, সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শৈশব খানসহ ৮-১০ জন অংশ নেয় বলে জানান আহত ছাত্রদল নেতারা।

হামলার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘সৈকতের কর্মীরা ৫-৬ টি বাইকে এসে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আসে। আহত মেহেদী ও রাজুর ১০টা করে সেলাই লেগেছে। পুরো মুখ এবং দাতে আঘাত করা হয়েছে। আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্য তারা এই হামলা করেছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক মানসুরা আলম দুই কানেই শুনতে পাচ্ছেন না।' তিনি আরও বলেন, ‘ছাত্রদল ক্যাম্পাসে সহাবস্থান চায়। আমরা ক্যাম্পাসে কোনও ধরনের অরাজকতা চাই না। ছাত্রলীগ এখন আর ছাত্রসংগঠন নেই, ছাত্রলীগ এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এই হামলা সেটাই প্রমাণ করে।’

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তানবীর হাসান সৈকত বলেন, ‘আমরা কেন তাদের ওপর হামলা করতে যাবো। রাত পৌনে আটটার দিকে ঢাকা মেডিক্যালের সামনে তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করে। এখন তারা যদি লন্ডনে বসে থাকা কারো নির্দেশে ক্যাম্পাসে ত্রাস সৃষ্টি করতে চায়, তাহলে তো সাধারণ শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না। তাই তারা প্রতিবাদ করেছে।’