ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দার তথ্য ফাঁস
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: কয়েক দিন আগে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রে গোয়েন্দা তথ্য ফাঁস হয়েছে। এই তথ্য ফাঁসের নেপথ্যে রাশিয়াকে দায়ী করছে পশ্চিমারা। তারা জড়িত কিনা জানতে চাইলে রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, সব কিছুর জন্য সব সময় রাশিয়াকে দোষারোপ করা একটি সাধারণ প্রবণতা।
ইউক্রেনসহ বেশ কয়েকটি দেশ সম্পর্কে ফাঁস হওয়া এই মার্কিন নথিগুলোকে ‘রুশ অপপ্রচার কর্মসূচি’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ইউক্রেন। খবর রয়টার্সের।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, সরকারের সংবেদনশীল তথ্য আদান-প্রদান এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ওপর প্রভাব বিস্তারকারী কয়েক ডজন গোপন নথি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা উৎস শনাক্তের চেষ্টা করছে।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে এসব নথি স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তথাকথিত এসব নথিতে ইউক্রেনের যুদ্ধের তথ্য, উভয় পক্ষের ক্ষতি এবং অন্যান্য বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কিছু জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা সন্দেহ করছেন যে নথিপত্রে উল্লেখিত বিষয়ে বিস্তৃতি দেখে ফাঁসকারী যুক্তরাষ্ট্রের হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা রুশপন্থী ব্যক্তিদের ভূমিকার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না।
সিআইএ-র সাবেক এক কর্মকর্তা বলেছেন, ওয়াশিংটন এবং তার মিত্রদের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং সম্ভাব্য বিভাজনের বীজ বপন করতে মস্কো হয়ত এই নথি ফাঁসের ঘটনাটি সাজিয়েছে।
নথি ফাঁসে রাশিয়া দায়ী হতে পারে, এমন অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, আমি কোনোভাবেই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারি না। আপনি এবং আমি জানি যে বাস্তবে সব সময় রাশিয়াকে দোষারোপ করার প্রবণতা রয়েছে। এটি সাধারণ একটি রোগ।
রাশিয়ার বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা (এসভিআর) মার্কিন তথ্য ফাঁস সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করেছে ওয়াশিংটন, এমন ধারণা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে পেসকভ নথি ফাঁসের ঘটনাটিকে ‘বেশ আকর্ষণীয়’ বলে অভিহিত করে বলেন, এমনটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবতা হলো যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানদের, বিশেষ করে ইউরোপের রাজধানীগুলোতে গুপ্তচরবৃত্তি করে আসছে। এই বিষয়টি বারবার উঠে এসেছে, একাধিক নিন্দাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।’