দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: গুজরাটের দেওয়া বড় লক্ষ্যে শুরুতে ছন্দপতন হয় রাজস্থানের। ফর্মে থাকা দুই ওপেনার জাইসওয়াল কিংবা বাটলারের কেউই রান করতে পারেনি। দুই উইকেটের ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নেয় পাডিক্কাল ও স্যামসন। ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম ফ্রন্টের ইনিংস খেলেন স্যামসন। পরাগ ৫ ও পাডিক্কাল ২৬ রানে বিদায় নিলেও টিকিয়ে রাখেন দলের স্বপ্ন। ৩২ বলে ৬০ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচ টা ছিটকে যাবে তাদের। 

তবে সেখান থেকে জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখেন শিমরন হিটমায়ার। মুলত তিনিই দলকে নিয়ে যান জয়ের দিকে। তার অনবদ্য অর্ধশতকে জয়ের দেখা পায় রাজস্থান। ৪ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে হিটমায়ারের ৫৬ রানে ভর করে ম্যাচটি জিতে নেয় রাজস্থান।

এই জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থান এককভাবে দখল করল তারা। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে ৮ পয়েন্ট তাদের। অন্যদিকে ৬ পয়েন্ট গুজরাট টাইটান্স এর।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় রাজস্থান রয়্যালস এর অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ম্যাচের প্রথম ওভারে ৪ রানে ঋদ্ধিমান সাহাকে বিদায় করে দলকে শুভসুচনা এনে দেয় ট্রেন্ট বোল্ট।

এরপর ওয়ানডে মেজাজে ব্যাটিং করেন সাই সুদর্শন। তবে অন্যপ্রান্তে চাকা সচল রাখার চেষ্টা করেন সুবমান গিল। পাওয়ারপ্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দারায় ৬ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৪২ রান। মূলত তাদের পাওয়ারপ্লে নষ্ট করেন ১৯ বলে ২০ রান করা সুদর্শন!

হার্দিক পান্ডিয়া নেমেই অবশ্য চেষ্টা করেন রানের চাকা এগিয়ে নেয়ার। তবে নিজের ইনিংস টা বেশি বড় করতে পারেন নি দলের অধিনায়ক। ১ ছয় ও ৩ চারে ১৯ বলে ২৮ রান করে বিদায় নেয় যুযবেন্দ্র চাহালের বলে আউট হয়ে। দেখেশুনে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন সুবমান গিল, এগিয়ে যাচ্ছিলেন অর্ধশতকেত দিকে। তবে সন্দ্বিপ শর্মার বলে তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে ৪৫ রানে।

এরপর দারুন এক জুটি গড়েন ডেভিড মিলার ও অভিনভ মনোহর। দারুন এক ইনিংস যখন খেলছিলেন মিলার তখন বেশি বিধ্বংসী ছিলেন মনোহর। ৩ ছয়ে ১৩ বলে ২৭ করেন এই ব্যাটার। ইনিংসের শেষ দিকে নিজের দায়িত্ব পালন করেন ডেভিড মিলার। ৩০ বলে ৪৬ রানে বিদায় নেন সন্দিপ শর্মার বলে আউট হয়ে। আর তাতে নির্ধারিত ওভারের খেলা শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৭৭ রান। ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন রাজস্থান বোলার স্বন্দিপ শর্মা।