নতুন রাষ্ট্রপতিকে বিশ্বনেতাদের শুভেচ্ছা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দায়িত্ব গ্রহণ করায় বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন বিশ্বনেতারা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন তিনি।
এরপরই ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও ম্যাটারেলা, জাপানের সম্রাট নারুহিতো, ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইদ ইব্রাহিম রাইসি, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, মালয়েশিয়ার রাজা সুলতান হাজি আহমেদ শাহ আল মুস্তাইন বিল্লাহ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব পৃথক বার্তায় সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন জানান।
এসব অভিনন্দন বার্তায় বিদেশি নেতারা বাংলাদেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সম্পর্ক আরও জোরদারের ইঙ্গিত দিয়েছেন।
অভিনন্দন বার্তায় সার্জিও ম্যাটারেলা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে ঢাকা ও রোমের বন্ধুত্ব দৃঢ় বন্ধনে যুক্ত। ইতালিতে বৃহৎ বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের অবদান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ বন্ধনগুলোকে একত্রিত করেছে।
ইতালির প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে, আপনার সময়কালে আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ থাকবে। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের মঙ্গল কামনা করেন তিনি।
জাপানের সম্রাট নারুহিতো বলেছেন, আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে আপনার সাফল্য ও সুখ এবং আপনার দেশের জনগণের সমৃদ্ধির জন্য আপনাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়েদ ইব্রাহিম রাইসি তার বার্তায় বলেছেন, ইরান ও বাংলাদেশের জনগণের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বন্ধন এবং অভিন্ন মূল্যবোধের পরিপ্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার একটি ভালো ধারাবাহিকতা রয়েছে এবং ইসলামী বিশ্বে তা গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাব রাখছে।
তিনি বলেন, আমরা সব ক্ষেত্রে এবং দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থে আমাদের সম্পর্কের আরও অগ্রগতি আশা করছি। আমি মহান আল্লাহর কাছে আপনার মঙ্গল ও সাফল্যের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য প্রার্থনা করছি।
শি জিনপিং বলেন, ঐতিহ্যগতভাবে চীন ও বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশ সর্বদা একে অপরকে সম্মান করেছে। একে অপরের মূল স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলোতে সমর্থন ও সহযোগিতা করেছে, যা বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থানের উদাহরণ। চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। দুই দেশ ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যৌথভাবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ নির্মাণের জন্য নতুন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়, যেন দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মালয়েশিয়ার রাজা আল-সুলতান আবদুল্লাহ রিয়াতউদ্দিন আল-মুস্তফা বিল্লাহ শাহ ইবনি আলমারহুম সুলতান হাজী আহমদ শাহ আল-মুস্তা ইন বিল্লাহ এক বার্তায় সাহাবুদ্দিনকে তার উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা মালয়েশিয়া এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ককে অনেক মূল্যায়ন করি ও এটি আমার আন্তরিক আশা যে, এটি আমাদের অভিন্ন স্বার্থের বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও তার অভিনন্দন বার্তায় বলেন, জাপানের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে, আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাতে চাই।
তিনি আগামী দিনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অধীনে বাংলাদেশ আরও উন্নয়ন সাধন করবে আশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ এবং সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, যা গত বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকীর মাধ্যমে শক্তিশালী হয়েছে। একটি ‘মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ এর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তা আরও জোরদার হবে।
সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুব বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় সিঙ্গাপুরবাসীর পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বার্তায় বলা হয়, সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশ চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উপভোগ করে যা জন-মানুষের দৃঢ় সম্পর্ক, অভিন্ন মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে সহযোগিতার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। গত বছর আমরা আমাদের দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি।
উভয় দেশ এখন অবকাঠামো, লজিস্টিকস, বিদ্যুৎ এবং আইসিটির মতো সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্রে সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে উল্লেখ করে হালিমা ইয়াকুব বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।