দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কয়লা সংকটে গত পাঁচদিন ধরে বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। জানা গেছে, ডলার সংকটের কারণে কয়লা আমদানি করতে না পারায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে এই সংকট কেটে যাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ডলার সংকটের কারণে দীর্ঘদিন অপ্রয়োজনীয় ও বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে এলসি খোলার ব্যাপারে কড়া অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তালিকায় কয়লাও পড়ে যায়। এর ফলে কয়লা নির্ভর বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়। এই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে গত ১৭ জানুয়ারি কয়লা আমদানির জন্য এলসি খোলার নির্দেশনা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কয়লা সংকটের কারণে চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কয়লা সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার এক মাসের মাথায় আবার উৎপাদনে ফেরে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরে ১৫ এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবারও বন্ধ হয় উৎপাদন। টানা তিনদিন বন্ধ থাকার পর ১৮ এপ্রিল আবারও উৎপাদন শুরু হয়। তবে মাত্র কয়েকদিন সচল থাকার পর কয়লা সংকটে ফের বন্ধ হয়ে যায় উৎপাদন।

বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম বলেন, কয়লা সংকটের কারণে গত ২৩ এপ্রিল রাত থেকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়লা আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি, আগামী ৩ মে'র দিকে আবারও উৎপাদন শুরু করতে পারব।