ফেসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না : আমীর খসরু
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এই অনির্বাচিত দখলদার সরকার পতনের আন্দোলনে দেশবাসী আজকে রাস্তায় নেমেছে।
রোববার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাম গণতান্ত্রিক ঐক্যের সঙ্গে বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলমান আন্দোলনকে সফল জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আজকে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আন্দোলনকে সফলভাবে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা কীভাবে কাজ করবো এবং কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি- এই অবৈধ ফেসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরে যাবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জাতিকে সামনে নিয়ে এই আন্দোলন সফল করব। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান পরিষ্কার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা আজকে একটাই। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া, জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক, সাংবিধানিক, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাকস্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা, চরম দুর্নীতি লুটপাট সবকিছুর মূল একটি জায়গায়। সেটা হচ্ছে জনগণকে বাইরে রেখে জোর করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখল। যারা জোর করে বসে আছে তাদের অপসারণই হচ্ছে বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ। যারা জোর করে বসে আছে তাদের পতন ছাড়া এ সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে না। সরকারকে পতনে বাধ্য করতে হবে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। তার মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। একটি নির্বাচিত সংসদ, একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হবে, যারা জনগণের কাছে জবাবদিহি করবে। মানুষ বাংলাদেশের মালিকানা ফিরে পাবে।
খসরু বলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের লোকেরাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে, কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে সেখান থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ওনাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার বলার পরেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এসবের উদ্দেশ্য একটাই- ওনাকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বাইরে রেখে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের যে প্রক্রিয়া সেটা যেন তারা সফলভাবে করতে পারে। তারা ভীত শঙ্কিত হয়ে ওনাকে আজকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে দিচ্ছে না। এটাই একমাত্র উদ্দেশ্য।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও লিয়াঁজো কমিটি সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও লিয়াঁজো কমিটি সদস্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।