স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাতাতাতি সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগের মতো জরাজীর্ণ অবস্থায় নেই। আমাদের দেশে সতেরকোটি জনসংখ্যা তাই মানুষের চাহিদাও বেশি। সুতরাং স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রাতাতাতি সব কিছু পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সমালোচনার ঊর্ধ্বে উঠে স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের কাজ চালিয়ে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবার অনেক উন্নয়ন করেছেন। আমরা টারশিয়ারি লেভেলের উন্নয়নের চেষ্টা করছি। সেকেণ্ডারি লেভেল, জেলা, উপজেলা, মেডিকেল কলেজ এবং ইনস্টিটিউটগুলোকে নতুন করে সাজানো হয়েছে।
বুধবার (১০ মে) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ এবং বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, আমরা শুধু পুরোনো জিনিসগুলোকেই মনে ধারণ করে রাখি। নতুন কিছু আমরা দেখতে পাই না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭০ হাজারের বেশি হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে সরকার বিগত কয়েক বছরে ৩৩ হাজার ডাক্তার ও ৪৫ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছে। এমন কি করোনার সময় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের লকডাউন থাকলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো কাজ বন্ধ ছিল না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। আমাদেরকে ধৈর্যধারণ করে সেগুলো দেখতে হবে। আজকের ডেন্টাল কলেজের উন্নয়নের আরেক ধাপ এগিয়ে গেল।
তিনি বলেন, নিউরো সাইন্স, গ্যাস্ট্রো লিভার, বার্ন ইনস্টিটিউট, আই ইনস্টিটিউটে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো কত সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সজ্জিত। নতুন মেডিকেল কলেজগুলোতে গেলে চোখ জুড়িয়ে যাবে। ডেন্টাল কলেজ দেখলেই বুঝতে পারবেন, আগে এখানে কি ছিল আর এখন কত রকমের উন্নয়ন হয়েছে। আগের মতো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিষ্ঠানগুলো আর জরাজীর্ণ অবস্থায় নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনায় সারা বিশ্ব আক্রান্ত হয়েছিল। করোনা এমন একটি ভাইরাস যার শুরুতে কারো জানা ছিল না। এটি এমন এক মহামারি যা আগে কখন সারাবিশ্ব দেখে নাই। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা বাণিজ্য লকডাউনের কারণে সব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভাল থাকে না তখন নানা ধরনের হুমকি আসে। তখন সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। যা কোভিড আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। এই করোনা মোকাবেলা করতে অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের বিরোধীরা যাই বলুক, তারা তো যুদ্ধের সময়, সংগ্রামের সময়, নির্বাচনের সময় এমনকি করোনা যুদ্ধে তারা আমাদের সঙ্গে ছিল না। তাদের সমালোচনা টিভি পর্দায় এবং পত্রিকার পাতায় আমরা পেয়েছি কিন্তু মানুষের পাশে আমরা পাইনি।
আলোচনা সভার আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ, আইসিইউ এবং বঙ্গবন্ধুর মুর্যাল উদ্বোধন করেন।