দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। এই ঘটনার পর ফেডারেশন থেকেও আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় সোহাগকে। এতদিন ধরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনো কথা বলেননি। তবে ঘটনার প্রায় ১ মাস পর মুখ খুলেছেন বাফুফের নিষিদ্ধ এই সেক্রেটারি।

বুধবার (১০ মে) বিকেলে রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে প্রথমবারের মতো সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন আবু নাঈম সোহাগ। এ সময় তার আইনজীবী আজমালুল হোসেন কেসিও পাশে ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে সোহাগকে সাংবাদিকরা জিজ্ঞাসা করেন, তিনি নির্দোষ কি না। জবাবে বাফুফের নিষিদ্ধ সেক্রেটারি বলেন, ‘আরে ভাই, এটা তো সময়ই বলে দেবে। টাইম উইল সে। এখন আমি জোর করে বলে দিলাম (আমি নির্দোষ), তাহলে তো হলো না। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

এসময় সোহাগ আরও বলেন, ‘আমি আবারও বলছি, আমি নিজেকে নির্দোষ মনে করি। সেটাকে অফিসিয়ালি প্রমাণের জন্য কাজ করছি। ভালো খবর নিয়েই আপনাদের সামনে আসবো ইনশাআল্লাহ।’

সংবাদ সম্মেলনে বাফুফেতে চলা অসঙ্গতি নিয়েও প্রশ্ন করেন সাংবাদিকেরা। তবে আবু নাইম সোহাগ এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ প্রত্যেকবারই তিনি বলছিলেন, ‘যেহেতু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছি, তাই আমি খুব বেশি কিছু বলার অবস্থায় নেই।’

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা এবং পরে বাফুফে কর্তৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞার পর কিছুটা আড়ালেই ছিলেন সোহাগ। এসময় একাধিক গণমাধ্যম যোগাযোগ করলেও কারোর সঙ্গে কথা বলেননি তিনি। অবশেষে দেশের কাছে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তিনি।

সোহাগ সংবাদ সম্মেলন করার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন কিন্তু সেভাবে সাড়া দিতে পারিনি। তাই আমাদের অবস্থান তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত।’

সংবাদ সম্মেলনে অনেক প্রশ্নের উত্তর সোহাগ দিতে পারেননি, ‘অনেক বিষয়ে এখন মন্তব্য করা যাচ্ছে না। আমি আপিল করেছি এখন মন্তব্য করলে তখন আবার ফিফা বলতে পারে কেন মন্তব্য করলাম।’

আন্তর্জাতিক আইনে বেশ অভিজ্ঞ সোহাগের আইনজীবী আজমামুল ফিফার সিদ্ধান্তকে ভুল হিসেবে অ্যাখ্যা দেন তার ব্যাখ্যা, ‘২০১৭-২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের ক্রয় কমিটি ও নীতিমালা ছিল না। ফিফার নির্দেশেই সকল কিছু হয়েছে। ফলে তাদের প্রদত্ত সিদ্ধান্ত সঠিক নয়’।

৫ মে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে ফিফার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আপীল করেছেন আজমালুল। তার আশা রায় তাদের পক্ষে আসবে, ‘আমরা যুক্তি ও প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। আশা করি ফলাফল ইতিবাচক হবে’।