দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় লক্ষ্মীপুরে ১৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৪২০ মেট্রিকটন চাল, বিস্কুটসহ শুকনো খাবার মজুদ রেখেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ৬৪ মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তবে এখনও কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া নিয়ে নানা অভিযোগ করছেন উপকূলের বাসিন্দারা। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ইতিমধ্যে আট নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

স্থানীয় অনেকেই বলছেন, আশ্রিতদের খাবার সংকটে পড়তে হয়। এজন্য তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাচ্ছেন না।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মেঘনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে নদী উত্তাল রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলবর্তী এলাকার নদীর বাঁধের কিছু কিছু স্থান। উপকূলবাসীদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর থেকে সকল ধরনের নৌ-চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এতে আটকা পড়েছে এ্যাম্বুলেন্সসহ ভোলা-বরিশালগামী হাজারো মানুষ।

জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানিয়েছেন, জরুরি দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ও ৩টি হেল্পলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্যোগকালীন কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। দূর্যোগ থেকে মানুষ ও গৃহপালিত প্রাণী রক্ষায় ফায়ার সার্ভিস, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবে। মেঘনা উপকূলবর্তী এলাকার সকল অধিবাসীদের সতর্ক ও নিরাপদ স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেন ডিসি।