মোখা মোকাবিলায় প্রয়োজনে কাজ করবে সেনাবাহিনী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:অতি প্রবল ঘূর্নিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ভাবছে সরকার। তবে শনিবার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। মোখার বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মুহুর্তে মুহুর্তে পরিস্থিতি বিবেচনায় দেওয়া হচ্ছে নির্দেশনাও। তবে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠলে এ দুর্যোগ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের কাজে লাগানো হতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানও ইতোমধ্যে এমন আভাসই দিয়েছেন। শনিবার সচিবালয়ে মোখা মোকাবিলায় সরকারের সবশেষ প্রস্তুতি জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় প্রয়োজনে সব বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে সেনাবাহিনী কাজ করবে।’
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কক্সবাজারের ১ হাজার ৬০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে এই ঘূর্ণিঝড়টির এখন আর সুপার সাইক্লোন হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।
মোখার প্রভাবে জলোচ্ছ্বাস হতে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ছয় থেকে ৯ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। এছাড়াও ভোলা ও বরগুনায় ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।