বান্দরবানে মুষলধারে বৃষ্টি: পাহাড় ধসের শঙ্কা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বান্দরবানে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড় ধসের শঙ্কায় জেলার সাতটি উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশের ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে মাইকিং করা হয়েছে। খোলা হয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র।
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে বান্দরবান জেলায় শনিবান থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। রোববার সন্ধ্যায় বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়ে যায়।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে। একটি কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। বান্দরবান সদরে অস্থায়ীভাবে ৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। এসব জায়গায় ১৯ হাজার ৮০ জন একসঙ্গে থাকতে পারবে। এ ছাড়া রুমা উপজেলায় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে; তাতে ৫১৫ জন। রোয়াংছড়ির ১৯ আশ্রয়কেন্দ্রে চার হাজার ৫০০; থানচি উপজেলার ছয় আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৪০; লামা উপজেলার ৫৩ আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪৯০; আলীকদম উপজেলার ১৫ আশ্রয়কেন্দ্রে তিন হাজার ১৩০; নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ৪৫ আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৪৫৭ জন থাকার জায়গা রয়েছে। তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে সাত উপজেলার জন্য তাৎক্ষণিক ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলায় ত্রাণ হিসেবে ৪১৬ দশমিক ৩১ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আট লাখ টাকা মজুদ রয়েছে।