এরদোয়ান এগিয়ে থাকলেও নির্বাচন গড়াতে পারে দ্বিতীয় দফায়
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: তুরস্কের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এক নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন দেশটির জনগণ। এখন চলছে ভোট গণনা। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছেন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় কম। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে। তাই রানঅফ ভোটেরা সম্ভাবনা বাড়ছে। তবে, এখনও প্রায় ১০ শতাংশ ভোটগণনা বাকি রয়েছে।
তুরস্কের অন্যতম প্রধান সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, এখন পর্যন্ত ৯৮ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট গণণা সম্পন্ন হয়েছে। এরদোয়ান পেয়েছেন ৪৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলুর প্রাপ্ত ভোটের হার ৪৪ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হলে রানঅফ নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ২৮ মে হবে দ্বিতীয় দফার ভোট হবে।
এর আগে বুথফেরত জনমত জরিপে, এবারের নির্বাচনে দেশটির ছয়-দলীয় জোটের নেতা ও এরদোয়ানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগলুকে এগিয়ে রাখ হয়েছিল। গত শুক্রবারের দু’টি জনমত জরিপে সরাসরি জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট তিনি পেতে যাচ্ছেন বলে দাবি করা হয়েছিল।
তবে নির্বাচনের সকল আগাম জরিপের পরিসংখ্যান উল্টে দিয়ে ভোটে সবার চেয়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। অবশ্য নির্বাচনে এগিয়ে থাকলেও কোনও প্রার্থী ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পেলে বিজয়ী হতে পারবেন না।
মূলত রোববারের এই নির্বাচনে যদি কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না জিততে পারেন তাহলে দুই সপ্তাহ পর অর্থাৎ আগামী ২৮ মে আবারও নির্বাচন (রান অফ) অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে রোববার (১৪ মে) সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন তিনি। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, যেসব কেন্দ্র আমরা ভোট বেশি পেয়েছি শাসকদল সেখানে ফলাফলে আপত্তি তুলেছে। অনেক কেন্দ্র ১১ বারও বেশি আপত্তি করা হয়েছে।
তিনি বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনি তুরস্কের জনগণের ইচ্ছাকে বাধা দিচ্ছেন। ভোটে আপত্তি তুলে আপনি জনগণের ইচ্ছাকে আটকাতে পারবেন না। নির্বাচন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।