মেয়রপদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তালুকদার আব্দুল খালেক
খুলনা সংবাদদাতা :খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে মেয়রপদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সদ্য সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। আজ মঙ্গলবার (১৬ মে) সকাল সোয়া ১০টায় কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তিনি এই মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এই নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা উচিত ছিল। মেয়র পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তাদের কাউকেই আমি দুর্বল প্রার্থী মনে করছি না।
তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনপ্রিয়তা যাচাই করা উচিত। নির্বাচন কমিশন বারবার বলছে এই নির্বাচনটা আপনারা পরীক্ষামূলক হিসেবে করেন। কিন্তু সাড়া দিচ্ছে না। স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। সবার নির্বাচন করা উচিত। এ জন্য যে আমরা সবাই খুলনার উন্নয়নের জন্য কথা বলি। উন্নয়ন করতে হলে আগে নির্বাচন করতে হবে। প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করলেই তো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবেন। আপনি যদি না করতে পারেন তাহলে উন্নয়নের ব্যাপারে আপনার কথা বলার কোনো অধিকার নেই।
ইভিএমের বিষয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, গত বছরও খুলনায় ইভিএম সিস্টেমে ভোট দিয়েছি। এবারও নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইভিএম সিস্টেমে ভোট হবে। এটা একটি আধুনিক পদ্ধতি। এটা একটি নতুন পদ্ধতি। এই সিস্টেমে নির্বাচন হওয়া ভালো। মানুষকে বোঝাতে হবে, মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী ও মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এদিকে খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ দিন আজ (মঙ্গলবার) বিকাল পর্যন্ত খুলনা নির্বাচন কার্যালয়ে সাত মেয়রপ্রার্থীসহ ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত ১৯৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
এছাড়া নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৪৯ জন প্রার্থী। আর সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৩৯ জন প্রার্থী।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
কেসিসি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে। আগামী ২৫ মে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন, ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ ও ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।