দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিচার প্রশাসনের কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে আমি অন্তত এক মিনিটও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপেক্ষা করব না বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সহায়তার অগ্রগতি শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মেধাবী জুডিসিয়াল অফিসারদের সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনে নিয়ে এসেছি। কক্সবাজার থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে এসেছি। তাকে প্রধান করে দুর্নীতি রোধে একটি টাক্সফোর্স করেছি। তাদের নির্দেশনা দিয়েছি, সুপ্রিম কোর্টের কোনো সেক্টরে দুর্নীতি চলছে কিনা, তা নিয়মিত মনিটরিং করার জন্য।

তিনি বলেন, কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ যদি আমার কাছে আসে, আমি অন্তত এক মিনিটও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপেক্ষা করব না। সে যত উচ্চপদস্থ বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা হোক বা সুপ্রিম কোর্টর এক কর্মচারীই হোক। তার বিরুদ্ধে প্রসিডিং শুরু করতে এক মুহূর্ত অপেক্ষা করব না।

এসময় হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, কিন্তু যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না আসে তাহলে কীসের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেব? যখন কারও দুর্নীতি হাতেনাতে ধরা হয়, আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রধান বিচারপতি লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, বিচারপপ্রার্থীদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার ক্ষেত্রে সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসারদের পারফরম্যান্স আশাব্যাঞ্জক। লিগ্যাল এইডের কার্যক্রমকে যদি জোরদার করা যায়, তাহলে মামলাজট ধীরে ধীরে কমে আসবে।

আইনপেশাকে মানুষের সেবা করা বড় সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে আইনজীবীদের গরিব মানুষকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেওয়ার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আবদুন নূর দুলাল, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রমুখ।