পরিমাপের ডিজিটালে রূপান্তর টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পরিমাপের গতানুগতিক পদ্ধতিকে ডিজিটালে রূপান্তরের মাধ্যমে উন্মুক্ত তথ্য প্রাপ্তিসহ সঠিক পরিমাপে পণ্য ও সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে এবং টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
আজ ২০ মে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উপলক্ষ্যে দেয়া আজ এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করেছি। ডিজিটাল পদ্ধতির পরিমাপ ব্যবসা-বাণিজ্য ও ভোক্তা পর্যায়ে পরিপূর্ণ, বিশ্বাসযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওজন ও পরিমাপ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা- আন্তর্জাতিক ওজন ও পরিমাপ ব্যুরো (বিআইপিএম) এবং ইন্টারন্যাশনাল ব্যুরো অব লিগ্যাল মেট্রোলজি (বিআইএমএল) এর সকল সদস্যভুক্ত দেশের ন্যায় বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা- বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) এর উদ্যোগে ২০ মে ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস’ উদযাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর বিশ্ব মেট্রোলজি দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘পরিমাপ বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার সহায়ক’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।’
শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৬ সালে তৎকালীন কোয়ালিশন সরকারের শিল্প, বাণিজ্য, শ্রম, দুর্নীতি দমন ও গ্রাম সহায়তা দপ্তরের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন দেশীয় শিল্পের বিকাশে নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তাঁরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সালে বিএসটিআই আন্তর্জাতিক মান সংস্থা (আইএসও) এবং ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ কোডেক্স অ্যালিমেন্টারিয়াস কমিশনের সদস্যপদ লাভ করে ন্যাশনাল কোডেক্স কন্টাক্ট পয়েন্ট (এনসিসিপি) হিসেবে কাজ করে চলেছে। আইএসও ও কোডেক্স এর সদস্যপদ এবং পরবর্তীতে বিআইপিএম ও বিআইএমএল এর সদস্যভুক্ত হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক মান ও পরিমাপ সংস্থা প্রণীত মান অনুযায়ী দেশের জাতীয় মান সংস্থা (এনএসবি) হিসেবে বিএসটিআই বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য যেমন: খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সামগ্রী ও যন্ত্রপাতির মান নির্ধারণ এবং সঠিক ওজন ও পরিমাপ নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন এবং ২০২১ সালে পণ্য মোড়কজাতকরণ বিধিমালা প্রণয়ন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআই’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় দেশব্যাপী বিভিন্ন স্তরের অংশীজনের সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ও বিশেষ অভিযান পরিচালনাসহ জনস্বার্থ বিরোধী কাজ নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণের ন্যায্য অধিকার সমুন্নত রাখা এবং সুষ্ঠু ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরির ক্ষেত্রে বিএসটিআই’র পদক্ষেপসমূহ সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এবারের মেট্রোলজি দিবসের গৃহীত কর্মসূচি ক্রেতা-ভোক্তা, উৎপাদক, আমদানিকারক, গবেষক ও বিএসটিআই’র কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরো সক্রিয় হতে উৎসাহ যোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিমাপসহ সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতি বাস্তবায়িত হবে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিল্পোদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও বিএসটিআই আরো উদ্যোগী ভূমিকা পালন করবে।’ তিনি ‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস ২০২৩’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।