এবার রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন যারা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিমান ভাড়া বাদে এবার রাষ্ট্রীয় খরচে ২৩ জন হজে পাঠানো হচ্ছে।
শনিবার (২০ মে) ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৩ জনের তালিকাসহ প্রধান হিসাব রক্ষণ ও অর্থ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে পাওয়া তালিকায় ২৩ জনকে সরকার ঘোষিত প্যাকেজ মূল্যের মধ্যে বিমান ভাড়া ছাড়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়ে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদিতে পাঠানোর সম্মতি দেওয়া হলো। মনোনীতদের বিমান টিকিট বাবদ এক লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা দিতে হবে।
এ ছাড়া মনোনীত ব্যক্তিরা সরকারের সর্বনিম্ন প্যাকেজ মূল্যে উল্লেখিত সেবা পাবেন। তারা দৈনিক ভাতা বা অন্যান্য আর্থিক সুবিধাদি পাবেন না, তবে খাওয়া খরচ বাবদ ৩৫ হাজার টাকা হজে যাওয়ার আগে হজ অফিস থেকে দেওয়া হবে।
রাষ্ট্রীয় খরচে হজে যাচ্ছেন যারা
ঢাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হোসেন মোল্লা ও তার স্ত্রী আফিয়া হোসেন, রংপুরের মো. বাদশা আলমগীর, জামালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল গফুর ও তার স্ত্রী জোবাইদা বেগম, ঢাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস খান, রংপুরের মো. আব্দুল কায়েম মিয়া, মাগুরার এস এম ফরিদ উজ-জামান ও তার স্ত্রী দিলশান আরা, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মো. রাশেদুন নবী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসি মেকানিক মো. ইউসুফ আলী ও তার স্ত্রী জান্নাত,, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আরবরিকালচারের মালী সাহেব আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সংলগ্ন স্টাফ কোয়ার্টার্সের সখিনা আক্তার, গোপালগঞ্জের মো. এনামুল হক শেখ, গুলশানের গাজী শাহাদাৎ হোসেন, কুমিল্লার মো. নুরুল ইসলাম, রাজধানীর উত্তর আদাবরের অধ্যক্ষ (অব.) পিএম মনসুর রহমান, গাইবান্ধার মো. নুরুল হোসেন খন্দকার, ঢাকার জামাল উদ্দিন মো. আকবর ভূঁইয়া, জয়পুরহাটের দেওয়ান মাহবুবার রহমান এবং গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার শাহাদাৎ শেখ।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর অসচ্ছল কিছু ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় টাকায় হজ করার সুযোগ দিয়ে থাকে সরকার। তবে, দেশের অর্থনৈতিক মন্দার কারণে গত বছর শুধু বিমান ভাড়া পরিশোধ সাপেক্ষে রাষ্ট্রী খরচে হজে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ অত্যধিক বেড়ে যাওয়া ও দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাষ্ট্রীয় খরচে কাউকে হজে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত ছিল সরকারের।