কোন দেশে পেঁয়াজের দাম কেমন?
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকলেও কৃষক পর্যায়ে সংরক্ষণ এবং আমদানি না হওয়ায় দেশের বাজারে এক সপ্তাহে বেড়ে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কমোডিটি অনলাইনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গতকাল ভারতের কলকাতায় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৯ টাকা এবং দিল্লিতে ৩২ টাকা, পাকিস্তানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩২ টাকায়। মিয়ানমারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১১ টাকায়। চীনে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৩ টাকা।
এদিকে, গতকাল রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।
পাকিস্তানের লাহোরের বাসিন্দা সার্ক চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব রাষ্ট্রদূত রহমত উল্ল্যা জাবেদ বলেন, লাহোরে শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ পাকিস্তানি রুপিতে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩২ টাকা।
এ ছাড়াও দিল্লিতে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক। শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৫ রুপিতে
শ্যামবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী নারায়ণ সাহা জানান, গতকাল পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ছিল ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছিল ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়।
তিনি আরও বলেন, সরকার দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দিলে কেজিতে ২৫-৩০ টাকা কমে যাবে। দেশের স্থানীয় বাজারে প্রতি মণ (৪০ কেজি) পেঁয়াজ বর্তমানে দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্যানুসারে বছরে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়ে গেছে, সেটা আমি জানি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে দাম স্বাভাবিক রাখা হবে। আর দুই-এক দিনের মধ্যে সরকার পেঁয়াজ আমদানি শুরু করবে।’
গতকাল শনিবার সকালে রংপুর নগরের শালবন সেন্ট্রাল রোডে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশে যেন পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক থাকে তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।